সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিনই যাঁরা বাড়ির বাইরে বের হন, তাঁদের পক্ষে প্রতিদিন সময় নিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়াটা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। সে ক্ষেত্রে ছুটির দিনই ভরসা। এই একটি দিনেই অন্তত ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করার কাজটি সেরে ফেলুন। তাতে পুরো সপ্তাহ জেল্লা ছড়ানো খুব একটা কঠিন ব্যাপার হবে না। সপ্তাহে এক দিন করে ছুটি হলেও প্রতি মাসে তার সংখ্যা চার দিন। আর চার দিন যদি সময় নিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করা যায়, তাহলে কিন্তু তা সুফলই বয়ে আনবে।
ম্যাসাজ ও ক্লিনজিং
মুখ প্রথমে অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েলের মতো হালকা ধরনের কোনো তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এরপর ফোমবেজড কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ত্বকের গভীর থেকে ময়লা বের করে আনতে কয়েক মিনিট গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতে রোমকূপ খুলে যাবে এবং ভেতরকার ময়লা বেরিয়ে আসবে। নাকের ওপর ব্ল্যাকহেডস জমে গেলে চারকোল মাস্ক লাগিয়ে নিতে পারেন ভাপ নেওয়ার পর। তবে এই মাস্ক মাসে দুবারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
স্ক্রাবিং করা জরুরি
সারা সপ্তাহ সময় না পেলে ছুটির দিনে অবশ্যই পুরো শরীর স্ক্রাব করে নিতে হবে। এতে ত্বকের উপরিভাগে জমা হওয়া মরা কোষ ঝরে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। পাশাপাশি ত্বক থাকবে কোমল। একটু সময় নিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্রাব। চালের গুঁড়া, দুধের সর, সামান্য অলিভ অয়েল ও মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিন এটি। এ ছাড়া চিনি, মধু ও লেবুর রসের সংমিশ্রণেও কার্যকরী স্ক্রাব তৈরি করে নেওয়া যায় বাড়িতে বসে।
ডিপ ক্লিনজিং ফেস প্যাক
সারা সপ্তাহ ত্বকের সেভাবে যত্ন না হওয়ায় ময়লা জমে যাওয়া স্বাভাবিক। ত্বক থেকে এই ময়লা দূর করার জন্য ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
এটিও বাড়িতে তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। বেসন, টক দই, কাঁচা হলুদবাটা দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। গোসলের আগে মিনিট ১৫ এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে পাতলা কাপড় দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
অবাঞ্ছিত লোম অপসারণ
সপ্তাহের একটি দিন প্রয়োজন অনুসারে ওয়্যাক্স, শেভিং ইত্যাদি করে নিতে পারেন। তবে সংবেদনশীল ত্বক হলে হাত ও পায়ের লোম অপসারণ করতে শেভিং করাটাই ভালো। সে ক্ষেত্রে ভালো মানের শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তবে শেভিংয়ের পরপরই স্ক্রাব করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, শেভ করার পর খুব ভালোভাবে ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিতে হবে, নয়তো রুক্ষতা দেখা দেবে।
সূত্র: হেলথ লাইন, হিন্দুস্তান টাইমস ও অন্যান্য