সম্প্রতি মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে বাচ্চারা কোনো প্রকার শাকসবজি খেতে চায় না। যার ফলে দেখা দিচ্ছে রক্তস্বল্পতা। প্রাথমিকভাবে আমরা অনেকেই জানি রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে কী খেতে হবে। তবে কীভাবে খেতে হবে এটি আমরা কজন জানি?
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবার কীভাবে খেলে রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারবেন। ভারতীয় এক গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় এ বিষয়ক এক প্রতিবেদন লেখা হয়।
রক্তস্বল্পতা বলতে রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা কমে যাওয়ারকে বুঝায়। শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা যদি স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায় তখনই হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব কমতে থাকে। যার ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত এক প্রকার প্রোটিন, যার মধ্যে আয়রন ও অক্সিজেন থাকে। পুরুষদের স্বাভাবিক ক্ষেত্রে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ ১৩.৮ থেকে ১৭.২ ডেসিলিটার থাকা উচিত। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে ১২.১ থেকে ১৫.১ ডেসিলিটার থাকা উচিত। এর চেয়ে কমে যাওয়া মানেই রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তে আয়রনের ঘাটতি পূরণে প্রতি দিনের পালং, ব্রোকোলি, বিট, পনির, ডিম, আপেল, তরমুজ, বেদানা, কুমড়োর বীজ, আমন্ড, অ্যাপ্রিকট এবং কিশমিশ খেতে পারেন। তবে কীভাবে খাবেন?
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. বিটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। যার ফলে বিট খেলে রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়তে থাকে। তবে এ বিট খেতে হবে জুস বা স্যালাদ করে। এ বিট মসলা বা তেলে ভেজে খেলে তেমন কোনো উপকার পাবেন না।
২. আপেলেও ভালো পরিমাণে আয়রন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। রক্তস্বল্পতা দূর করতে আপেলের জুস খেতে পারেন।
৩. রক্তস্বল্পতা সমস্যা জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী খাবার হলো খেজুর। খেজুর শুধু বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। চাটনি করে খেলে খুব একটা লাভ হবে না।
৪. সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়োর বীজেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এসব বীজ শুকিয়ে খেতে পারেন।
৫. বেদানা শুধু খান বা জুস বানিয়ে যেভাবেই খান না কেনো আয়রন ও ভিটামিন সি আপনি পাবেন।
রক্তস্বল্পতা গুরুত্ব সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।