ভ্রমণে গিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। রাস্তার ফুচকা, স্ট্রিট ফুড কিংবা বিদেশের কোনো রেস্তোরাঁ—যেখানেই কিছু খান না কেন, অসাবধানতার কারণে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী কারণে হয়
সাধারণত দূষিত পানি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা কিংবা বাসি খাবারে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণে এমন বিষক্রিয়া হতে পারে। এই ধরনের কোনো খাবার খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এড়ানোর উপায়
- কেটে রাখা লেবু, পেঁয়াজ ও শসা দিয়ে তৈরি সালাদ খাবেন না।
- নিরাপদ না হলে ট্যাপ বা টিউবওয়েলের পানি পান করবেন না।
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের রেস্তোরাঁ ও হোটেল এড়িয়ে চলতে হবে।
- ভালো করে সেদ্ধ করা বা পুড়িয়ে নেওয়া খাবার খাওয়া ভালো।
- রুচি না হলে যত সুস্বাদু হোক না কেন, কোনো খাবার খাবেন না।
- অতিরিক্ত তেল-মসলা দিয়ে বানানো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
- হাতের কাছে পাওয়া ফলমূল ভালো করে ধুয়ে বেশি পরিমাণে খেতে পারেন।
আক্রান্ত হলে করণীয়
শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখুন: ডায়রিয়া ও বমি হলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এমন সময় ডাবের পানি, লবণ-চিনির পানি কিংবা হালকা গ্লুকোজ পান করুন।
ওষুধ: বমি বা ডায়রিয়া হলে প্রাথমিকভাবে পরিচিত ওষুধ খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া মোটেও ঠিক হবে না।
বিশ্রাম: ভারী খাবার এড়িয়ে হালকা স্যুপ, চিড়া ও কলা খেত পারেন।
জরুরি অবস্থা: অতিরিক্ত অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে যেতে হবে।
ভ্রমণের প্রস্তুতি
মেডিকেল কিট: ওআরএস পাউডার, প্যারাসিটামল, অ্যান্টিসেপটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ওয়াটার পিউরিফিকেশন ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন।
ইনস্যুরেন্স: ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স নিন। গুরুতর অসুস্থ হলে পড়লে চিকিৎসা বা ফ্লাইট বাতিলের খরচ কভার হবে। ভ্রমণ উপভোগ করুন এবং সচেতন থাকুন।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ও অন্যান্য