Homeলাইফস্টাইলদাওয়াতে যেমন হবে শাড়ি ও সাজ

দাওয়াতে যেমন হবে শাড়ি ও সাজ


দাওয়াতে পরে যাওয়ার জন্য জুতসই পোশাক না পেলে শেষমেশ বাঁচিয়ে দেয় শাড়ি। পছন্দমতো যেকোনো শাড়ি গায়ে জড়িয়ে নেওয়ার পর মানানসই গয়না পরে আর মেকআপ ঠিকঠাক করতে পারলেই হলো! বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া যাঁদের শাড়ি খুব একটা কেনা হয় না, তাঁরা হয়তো ভাবছেন ঈদে গরম থেকে বাঁচতে আরামদায়ক পোশাকই কিনবেন। কেননা, এসব কাপড় রোজকার ব্যবহারের উপযোগী। ফলে জাঁকজমক পোশাকের মতো উপলক্ষের আশায় আলমারিবন্দী হয়ে থাকে না। কিন্তু ঈদের সন্ধ্যায় হুট করেই যদি মা বলে বসেন, দাওয়াতে যেতেই হবে, তাহলে কি আর রেহাই আছে? সবার জাঁকজমক পোশাকের ভিড়ে যেন নিজে হারিয়ে না যান, তাই হয়তো আলমারি থেকে একটা জমকালো শাড়ি বের করে গায়ে জড়িয়ে নেবেন।

দাওয়াতে উজ্জ্বল রঙের কাতান, অরগাঞ্জা বা সিল্কের শাড়ি, মানানসই লিপস্টিক, চোখে কাজল ও মাসকারা আর ম্যাচিং গয়না; এই তো, আর কী চাই! অবশ্য এভাবেই বা বলি কেন! এখন আর পোশাক বা ফ্যাশন টিপিক্যাল ধারণা মেনে চলে না। যেটা পছন্দ হয়, যেভাবে পছন্দ হয়, সেটা সেভাবেই পরে ফেলা এখনকার ট্রেন্ড। তার পরেও একটা প্যাটার্ন আছে উৎসবের জন্য পোশাক পরায়। সেটাও ভেবে দেখতে পারেন।

ছবি সৌজন্য: কে ক্র‍্যাফট

ছবি সৌজন্য: কে ক্র‍্যাফট

দাওয়াতের জন্য কেমন শাড়ি বাছাই করবেন

সুতি, সিল্ক, হাফ সিল্ক, অরগাঞ্জা, কোটা যেকোনো শাড়িই পরা যেতে পারে। তবে আঁচল, কুঁচি, জমিন ও পাড়ে ঘন কাজ রয়েছে এমন শাড়িই দাওয়াতে পরে যাওয়ার জন্য আদর্শ। যেসব শাড়ির আঁচল, পাড় ও জমিনে স্ক্রিন প্রিন্টের সঙ্গে এমব্রয়ডারি বা কারজুবির কাজ করা রয়েছে, সেসব শাড়ি রাতের দাওয়াতে পরা যেতে পারে। একই রঙের নানান শেডের আঁচল ও পাড়ে ভারী স্ক্রিন প্রিন্টের সঙ্গে এমব্রয়ডারি, কারচুপি ও মিরর বসানো শাড়িগুলোও একাধারে যেমন সুন্দর, তেমনি উৎসবমুখীও। আবার ভারী আঁচল ও পাড়ে প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ করা শাড়িও দেবে অনুষ্ঠানের আমেজ। ঈদে দিনের বেলায় স্বস্তি বা আরামদায়ক মানেই সুতি শাড়ি অথবা তাঁতের শাড়ি। রাতে সিল্ক, হাফ সিল্ক কিংবা অরগাঞ্জা পরা যেতে পারে।

উৎসবে শাড়ির রং

যেহেতু ঈদের দাওয়াত তাই উজ্জ্বল ও ট্রেন্ডি রংগুলো বেছে নিতে পারেন। এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, কারজুবি করা মেরুন, ম্যাজেন্টা, পার্পল, ল্যাভেন্ডার, নেভি, আকাশি, সাদা, পার্ল হোয়াইট, কফি, বার্গান্ডি, টারকয়েজ ইত্যাদি রঙের শাড়িতে অভিজাত লুক পাওয়া যায়। আবার চৈত্রের কাঠফাটা রোদে যাওয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন সাদা বা হালকা নীল রঙের শাড়ি। সাদা রঙের শাড়িতে গরম কম লাগে। শুধু সাদা নয়। যেকোনো হালকা রঙের শাড়িতেই গরম কম লাগবে। ফলে দিনের বেলা কোথাও যাওয়ার জন্য কালো রং বাদে সাদাসহ হালকা যেকোনো রঙের শাড়িই পরতে পারেন।

ছবি সৌজন্য: কে ক্র‍্যাফট

ছবি সৌজন্য: কে ক্র‍্যাফট

সাজে ও গয়নায়ও দিতে হবে গুরুত্ব

শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা, বাদামি কিংবা চকলেট রঙের লিপস্টিক পরা যেতে পারে। দু-একটা রং মিলিয়ে লিপস্টিকের রং বানিয়ে নিতে পারেন। শাড়িতে তেমন কাজ না থাকলে একটু ভারী গয়না পরে নিতে পারেন। কারণ, কিছুদিন পরে এই গয়নাগুলো বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে থাকবে।

রাতের দাওয়াতে একটু গাঢ় রঙের লিপস্টিক, কয়েক কোট করে দেওয়া মাসকারা, চুড়ি, নেকলেস, দুল ও হিল জুতা পরতে পারেন। যেহেতু গরম, তাই চুলটা বাঁধাই থাক। আর হাতে থাকতে পারে ক্লাচব্যাগ।

ছবি সৌজন্য: কে ক্র‍্যাফট

ছবি সৌজন্য: কে ক্র‍্যাফট

মনে রাখা চাই

শাড়ি, গয়না, লিপস্টিক বা জুতা যেটাই পরুন না কেন, তা যদি স্বাচ্ছন্দ্য এনে না দেয়, তাহলে পুরো মেকওভারই মাটি। পরার সময় খেয়াল রাখবেন আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন কি না।

শাড়ি হালকা হলে গয়না একটু ভারী পরা ভালো। গলায় ভারী নেকলেস পরলে কানে ছোট টপ পরতে পারেন। কাতানের সঙ্গে ঘন নকশাওয়ালা গয়না বেশি ভালো মানায়। আবার একরঙা সিল্ক শাড়ির সঙ্গে বেছে নিতে পারেন মুক্তার গয়না। জামদানি শাড়ির সঙ্গে সোনার গয়না ভালো মানায়।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত