Homeলাইফস্টাইলএক স্টাইলে দুই প্রজন্ম

এক স্টাইলে দুই প্রজন্ম


শাড়ির সঙ্গে রুপার বিছা পরার প্রচলন ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় সব অংশে দেখা যায়। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। কিন্তু এই ফ্যাশন অনুষঙ্গটির নাম এখন বাতিলের খাতায় লিখে রাখা হয়েছে। আধুনিক নারীরা সেভাবে আর বিছা পরে না। তবে পশ্চিমি ধারা অনুসরণ করে অনেকে বেল্ট পরেন।

সাধারণত বেল্ট পরা হয় প্যান্টের সঙ্গে। ইদানীং অনেকেই টপ কিংবা গাউনের সঙ্গেও বেল্ট জাতীয় অনুষঙ্গ পরছেন। এটাও এখন ফ্যাশানের অংশ হয়ে উঠেছে। তবে শাড়ির সঙ্গে বেল্ট কেমন লাগবে?

সম্প্রতি বলিউডের দুই প্রজন্মের দুই অভিনেত্রী শাড়ির সঙ্গে এক বিশেষ ধরণের বেল্ট পরে চলে এসেছিলেন ক্যামেরার সামনে। এদের একজন কাজল অন্যজন শ্রদ্ধা কাপুর। এটি নতুন ট্রেন্ড হিসেবে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করছেন অনেকেই।

শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বর্তমানে এমন কিছুই ফ্যাশানের অংশ হয়ে ওঠে যা সাধারণ মানুষের পছন্দের তালিকায় সহজেই খাপ খেয়ে যেতে পারে। একপর্যায়ে তা হয়ে ওঠে ট্রেন্ড। আর এই ট্রেন্ড রাতারাতি মানুষের মধ্যে পৌঁছে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে। তাই এ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের পছন্দের কথা বিবেচনায় রেখে যেকোনো কিছুকে সবার সামনে নিয়ে আসেন স্টাইলিস্টরা। কাজল এবং শ্রদ্ধা কাপুর শাড়ি পরাকে খুবই ‘কুল’ করে তুলেছেন এর সঙ্গে বিশেষ এই বেল্ট যোগ করে। বলা হচ্ছে, এটি ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার নিখুঁত মিশ্রণ। দুই বয়সের এই দুই অভিনেত্রী আবারও প্রমাণ করেছেন, ফ্যাশান কিংবা স্টাইলের কোনো প্রজন্ম হয় না।

সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্র উৎসবের প্রেস কনফারেন্সে শ্রদ্ধা কাপুর একটি ইকায়া বেনারসি শাড়ি পড়ে এসেছিলেন। সেটির রং ছিল উজ্জ্বল গোলাপি। সম্পূর্ণ সাজে সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও উৎসবমুখর একটি লুকে এসেছিলেন শ্রদ্ধা। তিনি শাড়ির ওপর পরেছিলেন বেশ প্রশস্ত ও চ্যাপ্টা একটি চকলেট বা গাঢ় খয়েরি রঙের বেল্ট। তাঁর কোমর জুড়ে থাকা বেল্টটি শাড়িকে অন্যরকম একটি আউটফিটে পরিণত করেছিল। শাড়ির ঐতিহ্যকে কিছুটা হিপ হপ লুক এনে দিয়েছিল এই বেল্ট।

শ্রদ্ধা কাপুর শাড়ির সঙ্গে পরেছিলেন একটি বেনারসি ব্লাউজ। সেটি ছিল স্ট্র্যাপ লেস সুইটহার্ট নেকলাইন। গলার মিনিমাল নেকলেস আর হালকা মেকআপ তাঁকে দিয়েছিল সতেজ ও আধুনিক লুক। খোলা চুল পুরো আউটফিটটিকে সম্পূর্ণ করেছিল। এই লুকে শ্রদ্ধা প্রমাণ করেছেন, ঐতিহ্যকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার জন্য কিছুটা সাহসী হয়ে কিছু উপাদান যোগ করতে হয়। উপাদানগুলো মিলে গেলেই তা ফ্যাশানের অংশ হয়ে উঠতে খুব একটা সময় নেয় না।

এ যুগে কাজল একজন এভারগ্রিন অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত। তিনি পরে ছিলেন সবুজ শাড়ি। আর কোমর জুড়ে ছিল ক্রিম রঙের বেল্ট। ইকায়া বেনারসির সেই সবুজ শাড়িটি কাজলকে দিয়েছিল একেবারে অন্যরকম এক লুক। সঙ্গে ম্যাচিং স্লিভলেস ব্লাউজ একটা আলাদা আভিজাত্য যোগ করেছিল তাঁর লুকে।

কাজল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কাজল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কাজলও পরেছিলেন মিনিমাল কানের দুল। সেটি ছিল সোনালি হুপ ইয়ার রিং। প্রাকৃতিক বেজে তাঁর সাজে ছিল কালো আইলাইনার, ন্যুড লিপস্টিক এবং ব্রাউন আইশ্যাডো। স্ট্রেইট করা চুল খুলে রেখেছিলেন। মুখে সূক্ষ্ম মেকআপ আর ছেড়ে দেওয়া চুল আলাদা ঔজ্জ্বল্য ছড়াচ্ছিল তাঁর চারপাশে। কাজলের এই লুকটি প্রমাণ করেছে, ঐতিহ্য এবং আধুনিকতা হাত ধরে হাঁটতে পারে। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত একটি আঁচল ছড়িয়ে দেওয়া হাস্যোজ্জ্বল পোজে বোঝা গেছে, কাজল তাঁর এই লুক দারুণ উপভোগ করেছেন।

ফ্যাশন জগতের সব ঘটনাই ঠিক কিংবা বেঠিকের সরল অঙ্কে মেলে না। কখনো তা ছাড়িয়ে যায় সবকিছু সীমা। দুই প্রজন্মের এই দুই অভিনেত্রী শাড়িকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার যে পদক্ষেপটি নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। আবার অনেকেই বলেছেন, শাড়ির ওপরে এমন চওড়া বেল্ট কিছুটা বেমানান। তবে ছবিগুলো দেখে আসলে একে খুব একটা বেমানান বলে মনে হয় না। কারণ অনেকই বিছা পরেন শাড়ির সঙ্গে। ব্লাউজেও থাকে ব্রেজারকাট। সে ক্ষেত্রে এই বেল্ট ঠিক বেমানান নয়।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত