Homeলাইফস্টাইলঅতিরিক্ত ঝাল খাবেন না যে ৫ কারণে

অতিরিক্ত ঝাল খাবেন না যে ৫ কারণে


ঝাল খাবার খাওয়ার পর মুখের ভেতর জ্বালাপোড়া, ঠোঁট বা চোখ জ্বলা এগুলো বেশ পরিচিত অনুভূতি। কিন্তু ঝাল খাবার আমাদের শরীরে আরও নানা ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে যেগুলো আমরা সাধারণত বুঝতে পারি না। বেশি ঝাল খাওয়া একটা অভ্যস্ততার ব্যাপার। এ ধরণের খাবার অনেকেরই প্রিয়। তবে যারা এটি খেতে অভ্যস্ত নয় তাদের জন্য এ ধরণের খাবার হতে পারে যন্ত্রণার কারণ। আসছে রমজান মাস। এ সময় খাবারদাবারে সতর্ক থাকতে হবে।

ঝাল খাবার শরীরের ওপর কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।

ঝাল খাবার এত ঝাল হয় কেন

ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন নামে একটি বিশেষ উপাদান। এই উপাদানটি মুখে পৌঁছানোর পর শরীরের রিসেপটরগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এতেই আমরা অনুভব করি তীব্র জ্বালাপোড়া। আমাদের ত্বক, মুখ, পেট সব জায়গাতেই এই ক্যাপসাইসিনের প্রভাব পড়তে পারে। এই অনুভূতি অনেকের কাছে স্বাভাবিক হলেও যারা ঝাল খাবারের সঙ্গে পরিচিত নন, তাদের জন্য এটি অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়।

তাই ঝাল খেলে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যে পাঁচ সমস্যা হতে পারে,

পেটের সমস্যা

ঝাল খাবার বেশি খাওয়া হলে অনেকেরই পেটে অস্বস্তি, গ্যাস বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা হতে পারে। যারা আগে থেকে হজমের সমস্যায় ভুগছেন এটি তাদের জন্য খারাপ। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্যাপসাইসিন পেটে অস্বস্তি, জ্বালাপোড়া তৈরি এবং হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে অসুবিধার কারণ।

আলসার বেড়ে যাওয়া

সরাসরি আলসার সৃষ্টি না করলেও যাদের ইতিমধ্যে এই সমস্যা রয়েছে, ঝাল খাবার তাদের জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। আলসারের রোগী হলে ঝাল খাবারের কারণে পেটে আরও বেশি যন্ত্রণা হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা থাকলে এ ধরণের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

ওজন বৃদ্ধি

কিছু ঝাল খাবার ওজন কমানোর জন্য সহায়ক। তবে মাংস ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারে অনেক ঝাল থাকলে তা ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া, এ ধরণের খাবার খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ বা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের কারণে সহজেই অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করতে পারে যে কেউ। এটি ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে।

ঝাল খাবার খাওয়ার পর কিছু মানুষের মাথায় তীব্র ব্যথা হতে পারে। এ ধরণের মাথা ব্যথাকে থান্ডারক্ল্যাপ হেডেক বলা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঝাল খাবার খাওয়ার পর কিছু মানুষের মাথায় তীব্র ব্যথা হতে পারে। এ ধরণের মাথা ব্যথাকে থান্ডারক্ল্যাপ হেডেক বলা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ডায়রিয়া

ঝাল খাবারের প্রভাব মুখের ভেতর শুরু হলেও এটি শেষ হয় পেটে। সেখানে এটি হজমের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ থেকে তৈরি হতে পারে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। এ ছাড়া ঝাল খাবার খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি এবং গ্যাস তৈরি হতে পারে। এগুলো স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। এ থেকেও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

মাথাব্যথা

ঝাল খাবার খাওয়ার পর কিছু মানুষের মাথায় তীব্র ব্যথা হতে পারে। এ ধরণের মাথা ব্যথাকে থান্ডারক্ল্যাপ হেডেক বলা হয়। এটি তীব্র এবং হঠাৎ শুরু হয়। এ ধরণের মাথাব্যথা শুরু হয় মূলত রক্ত সঞ্চালনের হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে। এ কারণে স্বাভাবিক রক্তচাপের পরিমাণেও বদল আসতে পারে।

যাদের আগে থেকে পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের ঝাল খাবার খাওয়া উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত

যাদের আগে থেকে পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের ঝাল খাবার খাওয়া উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত

যাদের ঝাল খাওয়া উচিত নয়

যাদের আগে থেকে পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের ঝাল খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এ ধরনের খাবার পেটের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে তীব্র পেট ব্যথা, ডায়রিয়া এবং বমি হতে পারে। তাই যদি আপনি এ রকম কোনো সমস্যা ভুগে থাকেন, তাহলে ঝাল খাবার এড়িয়ে চলাই আপনার জন্য ভালো উপায়।

মোটকথা, ঝাল খাবার খাওয়ায় শরীরের কিছু উপকার হয় বটে। তবে যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় বা এ ধরণের খাবার খাওয়া শরীর সহ্য করতে না পারে, তাহলে এটি বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। ঝাল খাবার খেতে চাইলে সতর্কতা অবলম্বন করুন। অতীত অভিজ্ঞা থেকে ভাবুন এ ধরণের খাবার আপনি কতটুকু খেতে পারেন। এ ধরণের খাবারে আপনার শরীরে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় তাও খেয়াল করুন।

সূত্র: হেলথশট





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত