১০ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা টিপু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২: ১২
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু দেশে ফেরার পর তাঁকে বরণ করে নেন নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হামলা-মামলা ও নিরাপত্তাহীনতার দীর্ঘ ১০ বছর পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশে ফিরেছেন ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু।
আজ শনিবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিএনপি নেতা-কর্মী ও দলীয় সমর্থকেরা গাড়িবহর নিয়ে তাঁকে বরণ করেন। এ সময় বিমানবন্দরের টার্মিনালে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলটির সিনিয়র নেতাসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল নেতা-কর্মী।
আনোয়ার হোসেন টিপু বলেন, ‘আমার আগমনকে কেন্দ্র করে এমন কিছু করবেন না যাতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। দেশে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সাল থেকে জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেছি। আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা দিয়েছে।’
টিপু বলেন, ‘১৬ বছরের আমাদের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শেখ হাসিনা কাউকে দেশ ছাড়া কাউকে বাড়ি ছাড়া করেছে। অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সেই ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছর আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা এখন নিরাপদ ও মুক্ত।’
টিপু আরও বলেন, ‘বিদেশে নির্বাসিত থাকাকালেও শেখ হাসিনার আক্রোশ থেকে আমি রেহাই পাইনি। গত ১০ বছরে একাধিকবার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুরসহ লুটপাট করে। পাশাপাশি পুলিশ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকার বাসায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাসায় আমাকে না পেয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় আমার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।’
এর আগে ২০১৫ সালে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু। সে সময় ষড়যন্ত্রমূলক পুলিশ হত্যাসহ প্রায় ৩০টি মামলা দেওয়ার তাঁর বিরুদ্ধে। দেশ ছাড়ার পরে তৎকালীন সরকার তাঁর পরিবারের ওপর নানাভাবে হয়রানি করে। একাধিকবার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও ঢাকার বাসায় হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। পরিবারের সদস্যদের করা হয় নির্যাতন।