সৌদি আরবের ২৪টি (অনধিক ২৫) পর্যন্ত ভিসাকে একক হিসেবে দূতাবাসের সত্যায়ন ছাড়াই বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনের সড়কে আজ বুধবার মানববন্ধন করে এসব দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বায়রার অন্য দাবিগুলো হলো সত্যায়িত ডিমান্ডের নিয়োগ অনুমতি নিয়ে জটিলতা নিরসন করা; দূতাবাসের ডিমান্ড অ্যাটেস্টেশন সহজীকরণ ও দ্রুততর করা; রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অপরাধ চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত না হওয়ার আগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা; মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল করা; মানব পাচার আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করা; মিথ্যা অভিযোগকারী কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান চালু করা; বিমানের টিকিটের সিন্ডিকেট ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও লেবার ফেয়ার চালু করা এবং বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিমাতাসুলভ আচরণের প্রতিবিধান করা।
মানববন্ধনে নেতারা বলেন, জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসা বাংলাদেশের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে বড় জোগান আসে এই খাত থেকে। অথচ একই খাতের জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টাকে অন্য দেশ প্রতিদিন সহজ করলেও আমাদের মন্ত্রণালয়, বিএমইটি ও দূতাবাস সেটা কঠিন করে তুলছে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও দূতাবাসের আচরণ অনেকটা অপরাধী ও বিচারকের মতো। যেখানে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর আত্মরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আমরা জনশক্তি পাঠানোকে সহজ ও সাবলীল করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মানববন্ধনে বায়রার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজুল ইসলাম, নোমান চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. ফখরুল ইসলাম, সাবেক ইসি সদস্য শাহাদাত হোসেন, সাবেক নির্বাহী সদস্য মোস্তফা মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে বায়রার নেতারা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।