আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কর্নেল (অব.) অধ্যাপক ডা. জিহাদ খানের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শ্যালক।
জিহাদ খান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির মজলিশে শুরা সদস্য এবং রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
কর্নেল (অব.) অধ্যাপক ডা. জিহাদ খানের প্রার্থিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর মজলিশে শুরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী।
এদিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল হামিদের শ্যালক জামায়াতের প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর থেকেই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, অতীতে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ বাড়ানো, স্বল্প পরিসরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন, বিভিন্ন কমিটি গঠন ও দলকে শক্তিশালী করতে নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছে কিশোরগঞ্জে। আর তা সম্ভব হয়েছে জিহাদ খানের মাধ্যমে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপির অনেকে বাড়িছাড়া হলেও কিশোরগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী নিজ বাড়িতেই নিরাপদে ছিলেন।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, জামায়াত যে আচরণ করছে জাতির সঙ্গে, তা প্রতারণার শামিল। শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। অবিলম্বে জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগের আত্মীয়স্বজন ও লোকজনের বিতাড়িত করা উচিত।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী বলেন, ‘আবদুল হামিদের শ্যালক কেন? উনি নিজে কর্নেল ও অধ্যাপক। উনি একজন বড় চিকিৎসক। উনার পরিচয় কি কম আছে নাকি? উনার আত্মীয়স্বজন তো সবাই জামায়াতে ইসলামী করে, ওইটা বলে না কেন কেউ? হামিদ সাহেব উনার ভগ্নিপতি হইছে তো কী হইছে? উনি তো একবারও ভগ্নিপতির সাথে বঙ্গভবনে গিয়ে দেখা করেননি। হামিদ সাহেবের শালা হওয়া কি অপরাধ নাকি?’
জেলা জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘তাঁর এক আত্মীয় পাইছেন, যিনি আওয়ামী লীগ করেন। আর তাঁর ১০০ জন আত্মীয়স্বজন আছে, যাঁরা জামায়াতে ইসলামী করেন। মতিউর রহমান নিজামী সাহেব তাঁর তালই হন, অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেব আপন খালাতো ভাইয়ের শ্বশুর। উনার আপন খালু আব্দুল গাফফার জামায়াতে ইসলামীর নেতা ছিলেন। জিহাদ খানের আপন খালা আবেদা আসমা খাতুন জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য এবং জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি ছিলেন।’