Homeরাজনীতিসাত বছর পর আজ বিএনপির বর্ধিত সভা

সাত বছর পর আজ বিএনপির বর্ধিত সভা


দীর্ঘ সাত বছর পর আজ বৃহস্পতিবার বর্ধিত সভা করছে বিএনপি। জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণের এই সভা সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি।

সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত দুই অধিবেশনে হবে এই বর্ধিত সভা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতিসহ দলের পরিকল্পনা এই সভায় সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে বলে বিএনপি সূত্র জানায়।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লো মেরিডিয়েন হোটেলে দলের বর্ধিত সভা ডেকেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই সভার পর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের পর কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে।

দলীয় সূত্র বলছে, আজকের বর্ধিত সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করবেন। বর্ধিত সভায় সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিগত আন্দোলনের মূল্যায়নের পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত দলের কর্মপরিকল্পনা কী হবে, সে বিষয়ে মতামত নিতেই এই সভা ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান, জনপ্রিয়তা এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কেমন, সেই চিত্র উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বর্ধিত সভার বিষয়ে গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে বর্ধিত সভায় তৃণমূলকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় জেলা-মহানগর, উপজেলা-থানা ও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি-আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক-সদস্যসচিবেরা বক্তব্য দেবেন।

সভার শুরুতে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমাদের শেষ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। সভা উপলক্ষে আমরা বিএনপি পরিবার ‘আস্থা’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে। সকালে তারেক রহমানের বক্তব্যের পর দুপুরের পর শুরু হবে রুদ্ধদ্বার অধিবেশন, যেখানে তৃণমূলের নেতারা বক্তব্য দেবেন। পরে সমাপনীতে তারেক রহমান বক্তব্য দেবেন।

বর্ধিত সভা প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সভায় নেতাদের চাওয়ার ওপর ভিত্তি করে নতুন বার্তা আসবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে যাঁরা দলের প্রার্থী ছিলেন এবং দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও চূড়ান্ত মনোনয়ন পাননি, অর্থাৎ প্রার্থী নন, কিন্তু মনোনয়নের জন্য ‘সেকেন্ডারি’ কাগজ পেয়েছিলেন, তাঁরাও বর্ধিত সভায় থাকবেন। এ ছাড়া বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্যসচিব; থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবরা অংশ নেবেন বর্ধিত সভায়। বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকেরাও থাকবেন। সব মিলিয়ে বর্ধিত সভায় সারা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতা অংশ নেবেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত