আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে দেশে একধরনের সামাজিক নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের মতে, সরকার ভালো কিছু দেখাতে পারছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা কথাও বলছে না। মানুষের বাঁচার সংকট যেমন সমাধান করতে হবে, তেমনি সংস্কার ও নির্বাচনের পথ, গণতন্ত্রের পথও তৈরি করতে হবে।
রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আজ মঙ্গলবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ জনদুর্ভোগ কমানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেছেন মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার ভালো কিছু দেখাতে পারছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনে সরকার টিকে থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে না। সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা হলে সমস্যার সমাধানও বের করা যায়।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়ে আসছি বলে মানুষ এখনো সরকারকে সহ্য করছে। ফ্যাসিস্টরা বিদায় নেওয়ার পর আবার কেন আমাদের রাজপথে নামতে হবে।’ তিনি মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা না নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
কুমিল্লায় প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার নিন্দা জানিয়ে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এটা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার শামিল। তিনি অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল বলেন, সরকারের ওপর মানুষের অনেক আশা। কিন্তু মানুষকে আশাহত হতে হচ্ছে। মানুষের বাঁচার সংকট যেমন সমাধান করতে হবে, তেমনি সংস্কার ও নির্বাচনের পথ, গণতন্ত্রের পথও তৈরি করতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজ মিয়া বলেন, সরকার অনেক কথা বললেও কাজের কাজ বিশেষ কিছু করতে পারছে না। মানুষের যাতে স্বপ্নভঙ্গ না হয়, সে ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
সমাবেশ শেষে পল্টন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবারও পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়।