সরকার নিজেদের ইচ্ছেমতো দেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদের পক্ষের ও বিরুদ্ধ শক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়ে ঘৃণা ও প্রতিহিংসার রাজনীতির চর্চা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক পার্টির যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ অভিযোগ করেন।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘তাঁরাই নাকি আন্দোলন করেছে, আর কেউ করে নাই। এখন তাঁরা যাদেরকে বলবেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, তাঁরাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। আর যাদের বলবেন ফ্যাসিবাদের দোসর, তাঁরাই ফ্যাসিবাদের দোসর, ফ্যাসিবাদ। এভাবে নিজেদের ইচ্ছায় দেশকে ভাগ করেছেন। ফ্যাসিবাদের দোসরদের ঘৃণা করেন, প্রতিহিংসা নেন, তাদের বিরুদ্ধে লেগে যান, ঘরবাড়ি, বিল্ডিং ভেঙে দেন। এই ধরনের রাজনীতি সরকারিভাবে প্রোমোট করা হচ্ছে।’
জিএম কাদের বলেন, ‘ঘৃণা আর প্রতিহিংসা বাড়াতে হবে- এটাই যেন এখন সরকারের ধর্ম হয়ে গেছে। যত ঘৃণা, প্রতিহিংসা বাড়াতে পারো, এটাই হলো এখন রাজনীতি, সামাজিক নীতি। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এটা গত সরকারও করেছে। এখন তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘৃণা, প্রতিহিংসার রাজনীতি থামাতে হবে। আমরা ঘৃণার জায়গায় ভালোবাসা দেখতে চাই। প্রতিহিংসার জায়গা সমঝোতা দেখতে চাই।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘এই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। এই সরকার নিরপেক্ষ কি না, এটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই সরকার বৈষম্য করছে। স্থিতিশীলতা চাইলে সকলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই। এসব নির্বাচিত সরকারের কাজ। নির্বাচনের পর যারা আসবেন, তারাই সংস্কার করবেন। এখনই সংস্কারের হাত না দেওয়া ভালো।’