যশোরের চৌগাছা উপজেলার ১০ নং নারায়ণপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. আবুল হোসেনসহ তার তিন ছেলেকে প্রকাশ্যে ‘আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ধারালো’ অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে এই হামলায় আহতরা যশোর ও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনাকে ‘লোমহর্ষক, পৈশাচিক, বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত’ উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী খুন-খারাবির মতো পৈশাচিক ও লোমহর্ষক খেলায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে।’
‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর পশুর চেয়েও হিংস্রতা ও ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। খুন-খারাবির মাধ্যমে ঘাপটিমারা আওয়ামী দুস্কৃতিকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের পৈশাচিক কায়দায় হত্যা ও গুরুতর আহত করা হচ্ছে’, উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
‘এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোনও বিকল্প নেই’, মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের দমনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। নইলে তাদের দাপটে দেশ আবারও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। তাই হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে যশোরের এই ঘটনায় জড়িত ‘আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের’ অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
পৃথক বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল-কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলও এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।