বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, অফিস বন্ধ, অফিসে নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্বে থাকে তারপরেও কীভাবে আগুন লাগলো— এটা আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আজকের মধ্যেই জানতে চাই।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে ‘মাদার অফ মাফিয়া ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের সীমাহীন দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ’র দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমাদের পাশেই গতকালকে সচিবালয়ে আগুন লেগেছে, যেখানে দেশের সব গোপনীয় দলিলপত্র থাকে। অফিস বন্ধ, অফিসে নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্বে থাকে তারপরেও কীভাবে আগুন লাগলো এটা আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আজকের মধ্যেই জানতে চাই।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আরও জানতে চাই— ওবায়দুল কাদের কী করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইন্ডিয়া গেলো। এখনও শেখ হাসিনা ভারতে বসে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বিরোধীদলের সাবেক এই চিপ হুইপ বলেন, আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিলাম, এখনো সতর্ক করছি— যাতে শেখ হাসিনা সরকারের দোসরদের সচিবালয় থেকে অপসারণ করা হয়। শেখ হাসিনার দোসরা আবারো ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে। এটা আমরা হতে দিবো না।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাস রাখার জন্য স্পষ্ট করে নির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করুন। নির্বাচিত সরকার এদেশের পরবর্তী বৃহত্তর সংস্কার শেষ করবে।
ফারুক বলেন, শুধু দুদকের মামলা দিলে হবে না, শেখ হাসিনা পরিবারের সবার দুর্নীতির শ্বেতপত্র জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। সামনে রোজা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সিন্ডিকেট আপনাদের ভাঙতে হবে। সেই আওয়ামী লীগের দোসররা রমজানে গরিব মানুষদের কষ্ট দেওয়ার জন্য আবার সিন্ডিকেট করতে পারে। আবার পরিকল্পনা করছে। সেই পরিকল্পনা নষ্ট করতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। শুধু সাংবাদিকের দায়িত্ব না দুর্নীতি খুঁজে বের করা, সরকারেরও দায়িত্ব দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা।
এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।