জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে— এর মধ্যে একটা নির্বাচনি রোডম্যাপ দিতে বলেছি সরকারকে। সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপ শেষে শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আপনার টিম দিয়ে বাজার মনিটরিং করেন। এখানে সিন্ডিকেট আছে তা ভাঙার চেষ্টা করেন। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নতি করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
সংবিধান সংস্কারের মালিক জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার বলে বৈঠকে জানান জোটের নেতারা। ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সংবিধানের মেজর পরিবর্তন করবে নির্বাচিত সরকার। আপনারা তা করবেন না।
অর্থপাচারে জড়িত ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডি, পরিচালকদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় জোটটি।
এদিন ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে বসেন। এ দফায় গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ১২ দলীয় জোট, জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টিসহ আরও কয়েকটি দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সরকার এরইমধ্যে তিন দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে।
তবে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ ও ‘গণহত্যায়’ অভিযুক্ত আওয়ামী লীগকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং হবেও না বলে আগেই জানিয়েছে সরকার। আর আওয়ামী লীগের সময়ের ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে প্রথম দফায় সংলাপে ডাকা হলেও পরে আর আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।