গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সংস্কারের পক্ষ নিয়ে কেউ যদি নির্বাচন বিলম্বিত করার কথা বলে, সেটা মানুষ নেবে না। আবার নির্বাচনের কথা বলে সংস্কার যদি আড়াল হয়ে যায়, সেটাও মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংস্কারও চাই, আবার নির্বাচনও চাই। এই কাজ করতে হলে আমাদেরকে ন্যূনতম ঐকমত্যে দাঁড়াতে হবে। ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হতে না পারলে, অভ্যুত্থান বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধ, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিয়ন্ত্রণহীন সিন্ডিকেট ও নতুন করে আরোপিত ভ্যাট এবং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে’ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচন এ নিয়ে একটি মুখোমুখি অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আমরা মনে করি, সংস্কার এবং নির্বাচন কোনও মুখোমুখি ব্যাপার নয়। নির্বাচনের জন্য সংস্কার দরকার আবার সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, এই সরকারের কাছে বিরাট এক দায়িত্ব। বাংলাদেশে যাতে আর কোনও ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম হতে না পারে, ফ্যাসিস্টের পলায়নের সাথে সাথে ফ্যাসিস্ট-ব্যবস্থাকে আমরা যাতে বিদায় জানাতে পারি তার জন্য মানুষ রক্ত দিয়েছে। সেটা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে আমাদের সকলের মধ্যে ঐক্য রক্ষা করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, আমরা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত পার করছি। অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল এই অভ্যুত্থানে যুক্ত হয়েছে। মানুষ এখন তার অধিকারের জবাব চায়। এখনও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ কোনভাবেই সীমান্ত হত্যা মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।