জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীদের জন্য নিরঙ্কুশ ১০০টি আসনের সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। তবে কমিশনের এই সুপারিশের যৌক্তকতার পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। তারা বলেছেন, নারীদের জন্য ১০০ টি নয় বরং সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০টি আসনই আমরা সংগত মনে করি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশমালা ও আমাদের বক্তব্য শীর্ষক’ গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, সুপারিশকৃত প্রস্তাবনায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধকে যথার্থ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার ঐক্যকে তুলে ধরা হয়েছে। তবে আমরা মনে করি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার সঙ্গে ২৪ এর তুলনা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল বিরত থাকবে। এ সময় সংবিধানে ‘প্রজাতন্ত্র’ শব্দের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, বিদ্যমান মৌলিক অধিকারের সঙ্গে ভোটাধিকার, ভোক্তা সুরক্ষাকে মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা সংহত হতে পারে।
এছাড়া, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন এবং দুর্নীতি দমনসহ পাঁচটি কমিশন গঠনের সুপারিশকে সময়োপযোগী বলা হয়।
বৈঠকে ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা ‘আন্তঃধর্ম সম্প্রীতি কমিশন’ ও ‘জাতীয় শরীয়াহ কাউন্সিল’ গঠনের দাবি জানান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বর্তমান সংবিধানের তুলনায় প্রস্তাবিত সংবিধান সংস্কার সুপারিশমালা অধিকতর টেকসই ও যুগোপযোগী। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আরও জনমত গ্রহণ ও বিস্তারিত পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিনের সভাপতিত্বে ও স উ ম আবদুস সামাদের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আইন সচিব মুহাম্মাদ ইকবাল হাছান প্রমুখ।