জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, যে তরুণদেরকে নিয়ে মানুষ গর্ব করে, অহংকার করে, আমাদের সেই ছাত্র-তরুণরাই জুলাই ফাউন্ডেশনের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু, তাদের কাছে কেন আমলাতন্ত্রের জটিলতা থাকবে? তাদের অফিসে কেন লাল ফিতার দৌরাত্ম্য থাকবে?
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির আহত ছাত্র-জনতার ব্যানারে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, মাসিক ভাতা ও সু-চিকিৎসার দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, দেশকে ভালো রাখতে হলে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করতে হবে। আমাদের নিজের ভালোর জন্য এ সরকারকে আরও কিছুদিন রাখতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল— সরকার ছোট ছোট কিছু জায়গায় তাৎক্ষণিক কিছু ভূমিকা নেবে, তড়িৎ অ্যাকশন নেবে। সেটি কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আজকে সাড়ে ৫ মাসে কেন আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে, তাদের অফিসে কেন লাল ফিতার দৌরাত্ম্য থাকবে?
সরকার এবং জুলাই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকারের প্রথম এবং প্রধান কাজ উচিত ছিল, আহতদের খুঁজে খুঁজে বের করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। এছাড়াও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সরকারের উচিত ছিল। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিহতদের নিখুঁত তালিকা এবং আহতদের তালিকা করে, তাদেরকে মিনিমাম ৫০ লাখ টাকা করে দিতে হবে। নিহতদেরকে ১ কোটি টাকা করে দিতে হবে।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের আহত শিক্ষার্থী মো. তৌফিক শাহারিয়ারের সভাপতিত্বে এবং মো. আল-আমীন ও রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহীদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, বুয়েটের এআরআই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি সমন্বয়ক নাজমুল হাসান প্রমুখ।