Homeরাজনীতিযারা ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি চাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করার দাবি

যারা ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি চাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করার দাবি


আদিবাসী শব্দটিকে ‘সংবিধান বিরোধী’ ও ‘দেশবিরোধী’ শব্দ উল্লেখ করে যে বা যারা ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি চাচ্ছে ও এই দাবির পক্ষে কাজ করছে, প্রচার করছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ সার্বভৌম ছাত্র-জনতা নামে একটি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষুব্ধ সার্বভৌম ছাত্র-জনতার ব্যানারে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির কর্মসূচিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি ও লাল সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে’ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, যারা নিজেদেরকে আদিবাসী দাবি করছেন, তারা মূলত বিভিন্ন দেশ থেকে এই দেশে এসেছে। আমরা তাদের থাকতে দিয়েছি। তারা উপজাতি, তারা আদিবাসী না। এই দেশে কখনও আদিবাসী ছিলও না ভবিষ্যতেও থাকবে না। যদি তারা এই দাবি করতে চায়, তাহলে সেটা রং নাম্বারে ডায়াল করা হবে।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, সম্প্রতি এনসিটিবির পরিমার্জন কমিটিতে নিয়োগ করা বহিরাগত লাল সন্ত্রাস রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদরা পাঠ্যবইতে রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন বিরোধী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিভাষা ‘আদিবাসী’ যুক্ত গ্রাফিতি অন্তর্ভুক্ত করে। এটাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি, তাদের পৃষ্ঠপোষক ও দোসরদের আদিবাসী দাবির অন্তরালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সুপ্ত পরিকল্পনা দেশবাসীর কাছে ফাঁস করে দেয় দেশ রক্ষায় নিবেদিত ছাত্রদের প্লাটফর্ম ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’। এই কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি, তাদের পৃষ্ঠপোষক ও দোসর বামপন্থি লাল সন্ত্রাসীরা একজোট হয়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগান্ডা ও অপপ্রচারে মাঠে নেমেছে, মিথ্যা মামলা করেছে, দুজন শুভাকাঙ্ক্ষীকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে, হয়রানি করা হচ্ছে সংগঠনটির সদস্যদের, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

বিক্ষুব্ধ সার্বভৌম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। তাদের দাবিগুলো হলো—

১. স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা তুলে নিতে হবে এবং তার সকল বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

২. মতিঝিলে সহিংস ঘটনা তৈরির অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও হোতা লাল সন্ত্রাস রাখাল রাহা, অলিক মৃ ও আরমানুল হক গংদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একই সাথে তাদের পক্ষে যারা সাফাই গাইছে বিশেষ করে দেশবিরোধী সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. ‘আদিবাসী’ শব্দটি সংবিধানবিরোধী ও দেশবিরোধী শব্দ। যে বা যারা ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি চাচ্ছে ও এই দাবির পক্ষে কাজ করছে, প্রচার করছে তারা প্রত্যেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী ও তাদের দোসর। রাষ্ট্রকে স্বপ্রণোদিত হয়ে এই রাষ্ট্রদ্রোহীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিক্ষুব্ধ সার্বভৌম ছাত্র-জনতার সহ-মুখপাত্র মুহম্মদ রাসেল, মুহম্মদ সাইদুর রহমান প্রমুখ।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত