‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে— ৬ নভেম্বর বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা ও ৮ নভেম্বর শুক্রবার রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর আগে দলের কার্যালয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভার্চুয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন। মির্জা ফখরুল ‘ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক’ হিসেবে তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করেন।
কর্মসূচি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৭ নভেম্বর র্যালি না করে ৮ নভেম্বর র্যালি করবো। শুক্রবার ছুটির দিনে রাস্তাঘাটে যেন যানজট না হয়, সেজন্য র্যালি এক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’
কর্মসূচি ঘোষণার আগে বিএনপির মহাসচিব ৭ নভেম্বর সম্পর্কে কথা বলেন। সঞ্চালক রুহুল কবির রিজভী আহমেদের বক্তব্যের সূত্র ধরে মির্জা ফখরুল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করেন।
বিএনপি’র ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি
৭ নভেম্বর সকাল ৬ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন ৬ নভেম্বর বুধবার বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর সকাল ১০ টায় দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীর সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, ৮ নভেম্বর শুক্রবার রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের উদ্যোগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।