Homeরাজনীতিবিপ্লব ছাত্র-যুবকদের, কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে বয়োবৃদ্ধরা: নুর

বিপ্লব ছাত্র-যুবকদের, কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে বয়োবৃদ্ধরা: নুর


গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, অভ্যুত্থানের পর হয় বিপ্লবী সরকার। এখানে বিপ্লব করেছি আমরা ছাত্র-যুবক-তরুণরা। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আছেন বয়োবৃদ্ধরা। তাহলে বিপ্লবী স্পিরিটে সরকার চলবে কীভাবে?

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে খেলাফতে রাশেদা বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘২৪-এর গণহত্যাসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবং দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসন মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

নুরুল হক নুর বলেন, আমরা খুব হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। কোনও রাজনৈতিক দল জানে না সরকার কীভাবে গঠন হয়েছে। আওয়ামী লীগের পরে বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল, তাদের হয়তো বলা হয়েছে আপনাদের রেফারেন্সে নাম দিয়েন ৪/৫টা। সেখান থেকে হয়তো ২/৩ জনকে নেওয়া হয়েছে। আর কোনও দলের রেফারেন্সে কাউকে নেওয়া হয় নাই, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। কই থেকে এই তালিকা আসলো?  কোন অ্যাম্বাসি থেকে এই তালিকা আসলো?  কোন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এই তালিকা আসলো– আমরা জানি না।

তিনি বলেন, আমরা লুটপাট, গুম, খুন, হত্যার বিচার চাই। চব্বিশের গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড থেকে এই গণহত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। কিন্তু তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয় নাই। একটা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, কিন্তু একটা ট্রাইব্যুনাল দিয়ে তো এই বিচার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। পাঁচটা ট্রাইব্যুনাল করে দিতো; বুঝতেছি না কেন এভাবে হচ্ছে।  

নুর বলেন, আজকে পুতুপুতু করে বিচার করা হচ্ছে, তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘোড়ার ডিম করতে করতেই কাজ সেরে যাবে। এগুলো করতে করতেই তারপর দেখবেন নির্বাচন হয়ে গেছে। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসলে রাজনৈতিক ইন্টারেস্টের জায়গা থেকে দেশি-বিদেশি দেন-দরবারের অনেক রাস্তা খুলে যাবে। শেষ পর্যন্ত বিচার আর নাও হতে পারে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না– এই কথাটি কী বিএনপি এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে জোরেশোরে বলা হচ্ছে?  বলা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রশ্নে তাদের অবস্থান পরিষ্কার না। আমি অনুরোধ জানাবো, আপনারা যদি গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করেন, গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটে যদি আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চান তাহলে আপনাদের পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করতে হবে আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনারা কোনও আপস করবেন না।

যুদ্ধাপরাধীর নামে যখন জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হচ্ছিলো তখন জামায়াতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী, একসাথে সরকার গঠন করা বিএনপিও তখন কার্যত নীরব ছিল বলে মন্তব্য করেন নুর।

খেলাফতে রাশেদা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি আজহারুল ইসলাম আশরাফীর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা মীর্জা ইয়াসীন আরাফাত, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত