বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) লাল কার্ড সমাবেশ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ করে সংগঠনটি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যে সংবিধান আপামর জনতার ভাষা বোঝে না, সে সংবিধান অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সংবিধান হবে দেশের মানুষের জন্য। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পদের মতো ব্যবহার করেছে।
এসময় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যদের ফাঁসিবাদের সংবিধান লাল লাল কার্ড, মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি বলেন, ইতোমধ্যে সংবিধান ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। তাহলে কেন সংবিধান বাতিল করতে জটিলতা দেখা দিয়েছে, আমরা জানতে চাই।
আপনারা দেখেছেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অনেক দলের নেতাকর্মীরা তাদের মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাহলে এই সংবিধান কীভাবে কার্যকর। বাংলাদেশের সংবিধান হবে জুলাই বিপ্লবে শহীদের স্মরণে। রাজনৈতিক দলগুলোর জটিলতার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরানো যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন শরীফ ওসমান বিন হাদি।
যেখানে প্রতিদিন রাষ্ট্র বদলে যাচ্ছে, সেখানে সংবিধান কেন বাতিল হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে হাদি বলেন, মানুষ কি সংবিধানের জন্য নাকি সংবিধান মানুষের জন্য? এসময় সংবিধান বাতিলের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
সমাবেশ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা বাঁশিতে হুইসেল দিয়ে লালকার্ড প্রদর্শন করেন।