বইমেলায় তসলিমা নাসরিনের বই নিয়ে উত্তেজনা ও লেখকের ওপর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বইমেলার সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলার কিছুক্ষণ পরেই তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করে বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। তারা মিছিল নিয়ে মেলা প্রদক্ষিণ করে সব্যসাচী স্টলের সামনে বক্তব্য দেন।
এসময় নেতাকর্মীরা ‘বইমেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’, ‘বইমেলায় হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দাও’, ‘মবতন্ত্রের আস্তানা, বাংলাদেশে হবে না’, ‘অভিজিৎ, দীপন, লাগবে আর কতজন’সহ একাধিক স্লোগান দেন।
বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আজ একটি নির্লজ্জ ঘটনা ঘটেছে। আমরা শুরু থেকে বলেছি, বইমেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ নাজুক। এই হামলার আগে একটা গোষ্ঠী গতকাল থেকে অনলাইনে হামলার পায়তারা চালিয়েছে। কিন্তু প্রকাশনীর নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারা হামলা করে বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি। আজ শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে। অথচ যেখানে নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন, সেখানে তারা নির্বিকার থাকে।
তিনি বলেন, আমরা এমন ইন্টেরিম সরকারকে ধিক্কার জানাই। অধ্যাপক আজম বাংলা একাডেমির পরিচালক হওয়ার পর আমরা আশা করেছিলাম, তার নেতৃত্বে বাংলা একাডেমি অনেকদূর এগিয়ে যাবে। কিন্তু তার নেতৃত্বে দেখতে পেলাম, নির্লজ্জ ঘটনা ঘটলো। তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। এই হামলার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে মাজার, মন্দিরের মধ্য দিয়ে। হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি (একাংশ) মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, একদল উগ্রবাদী মব সৃষ্টি করে স্টলটি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা একদল শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ জানাই। আমরা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সরকার সেই গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ দিচ্ছে না। আমরা আশাবাদী ছিলাম বাংলা একাডেমির নেতারা অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করবে কিন্তু তারা সেটা ব্যর্থ হয়েছে। ৫ আগস্টের পর মাজার ভাঙা হয়েছে মন্দির ভাঙা হয়েছে, সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় চুপ ছিল। এই সরকারের লোকজনরা এই দায় এড়াতে পারবে না।