জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গণতান্ত্রিক বাম ছাত্রজোটের যাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে সাকুরা বারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু করে ভিসি চত্বর, ক্যাম্পাস শ্যাডো, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, শাহবাগ ও বাংলামোটর হয়ে সাকুরা বারে সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাঁচ মিনিটের মতো ধাক্কাধাক্কি হয়।
এরপর তারা রাজসিক ভাস্কর্যের পাশে বসে পড়ে এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে।
সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে ছাত্রজোটের আহ্বায়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ৫ আগস্টের পর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার না করে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরাসরি জড়িত ওবায়দুল কাদেরসহ অনেককে আমরা পালিয়ে যেতে দেখেছি। শেখ হাসিনাসহ পালিয়ে যাওয়া সবাইকে ফিরিয়ে এনে গণহত্যার বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের পরে উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন আমরা দেখতে পাচ্ছি। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা ভেবেছিলাম, সরকার মানুষের ভাতের রাজনীতি করবে। কিন্তু তারা অন্যায্য ভ্যাট আরোপ করছে। আমরা অবিলম্বে তা প্রত্যাহার চাই।
বাম ছাত্রজোটের পাঁচ দফা দাবি হলো— ১. জুলাই গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা, আহতদের সুচিকিৎসা-পুনর্বাসন নিশ্চিত কর। ২. সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করো, বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করো। ৩. শ্রমিক হত্যার বিচার করো, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নাও। ৪. ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী দেশগুলোর সঙ্গে করা দেশবিরোধী সব চুক্তি প্রকাশ ও বাতিল করো। ৫. পাহাড় থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করো।