Homeরাজনীতিপলাতক প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে: নিতাই রায়

পলাতক প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে: নিতাই রায়


বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, পলাতক প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র টিকবে না। কারণ এবার সম্মিলিতভাবে সব জাতি এদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যে জাতি একবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে এই জাতি আর মাথা নিচু করবে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র রুখে দাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, পরাজিত শক্তি (আওয়ামী লীগ) আর ফিরে আসতে পারবে না। তারা যদি ফিরে আসতো তাহলে হিটলার ফিরে আসতো, নমরুত ফিরে আসতো, চেঙ্গিস খান ফিরে আসতো। আইয়ুব খান, টিক্কা খান এরা ফিরে আসতো। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে যারা এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল তারা ফিরে আসতো। তাছাড়া শেখ হাসিনা এদেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরা হলো পলাতক শক্তি। এই দুর্নীতিবাজ লুটেরা  মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। তাই এরা আর ফিরে আসতে পারবে না।

গণফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ যুগে যুগে এদেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদেরকে মানুষ রুখে দিয়েছে। আজকে দেশ গড়ার সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক দাবি হয়তো এই সরকার পূরণ করবে, বাকি দাবিগুলো আগামী দিনে রাজনৈতিক সরকার পূরণ করবে।  এরমধ্যে অর্পিত সম্পত্তির প্রত্যাবর্তন আইনের প্রতিকার পেতে হিন্দুসহ বিচার প্রার্থীরা বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। আইনটি যে বিবেচনায় করা হয়েছে, সে বিবেচনা এখন মাঠে মারা যাচ্ছে। সুতরাং আমরা এখন সরকারের কাছে দাবি করবো— ১৯৬২ সালের যে আইন এখনও পর্যন্ত এটার দ্বারা বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কোনও কোনও ক্ষেত্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভেতর মামলা-মোকাদ্দমার হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই। আরেকটা হচ্ছে— সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন যথা সময়ে করা যেতে পারে। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। মাঠে এসে আওয়াজ তুলতে হবে। আর বৈষম্য বিলোপ আইন যেন কার্যকরী করা যায়। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার জন্য নানারকম ষড়যন্ত্র করেছিল আওয়ামী লীগ। প্রত্যেকটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার প্রশাসনের ইন্ধন আছে। কোথাও কোনও একটা ঘটনা হলেই বলতো, জামায়াত বিএনপি করেছে। কিন্তু সব ঘটনার মধ্যে আওয়ামী লীগ ছিল। বর্তমান সরকার সব সাম্প্রদায়িক হামলা বিচার করতে বদ্ধপরিকর, কাজেই প্রত্যেকটি ঘটনায় সবাইকে মামলা করার আহ্বান জানান তিনি।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে সংগঠনের মহাসচিব এস এন তরুন দে সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাবেকসহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা অমলেন্দু দাস অপু, ভাইস-চেয়ারম্যান রমেশ দত্ত, তপন চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ।

 





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত