‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই কেন অপরাধ হবে? সাংবিধানিক অধিকার এটা। শেষ তিনটি নির্বাচন নিয়ে তথ্য ও ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি বিগত সময়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগের হামলা, মামলা ও দলীয় বিভক্তির রাজনীতির শিকার হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। তিনি অভিযোগ, ২০২৪ সালে জাতীয় পার্টিকে হাসিনা সরকার জোর করে নির্বাচনে এনেছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের উদোগে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন জিএম কাদের। হামলার ঘটনায় জাপার নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সানাউল্লাহ শানু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম আহত হন।
জিএম কাদের বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে, আমরা আওয়ামী লীগের দোসর। এসবের অপবাদের সত্যতা নেই। এর পেছনে ষড়যন্ত্র চলছে, এসবের সঙ্গে কিছু বুদ্ধিজীবীও জড়িত।’
‘আমাদের বলা হয় আওয়ামী লীগের দোসর? কীভাবে ২০০৮ সালে নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। সেই শেখ হাসিনার সরকারে আমি মন্ত্রী ছিলাম। তাই বলে আমরা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও অন্যায়ের ভাগিদার হবো কেন?’
‘সেই সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী থাকাকালে হজযাত্রীদের খারাপ বিমানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার প্রতিবাদে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম’, বলেন কাদের।
জাতীয় পাার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে জিএম কাদের বলেন, ‘সরকার যেমন নির্বাচনে যেতে চাপ দিতো, তেমনি অন্যদিক থেকেও জোর করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সবাই আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছিল। ২০১৪ ও ’২৪-এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচন করতে বাধ্য করেছিল।’