নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে এই মামলার আসামি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফকেও বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রায়ের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী জাকারিয়া হায়দার ।
রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। শহিদুল ইসলাম, ইউসুফ হোসাইন, এম এ এইচ সেলিম ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন আদালতে হাজিরা দেন। অপর আসামি কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, মীর ময়নুল হক ও কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমান, এ মামলার বাদী, কানাডার পুলিশ লয়েড স্কোয়েপ ও কেভিন ডুগানসহ মোট ৩৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশারফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমানও এই মামলার আসামি ছিলেন। তারা মৃত্যুবরণ করায় ইতিপূর্বেই তাদের মামলার দায় থেকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
২০২৩ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।