বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার অভাবে পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেকটা মাঠে মারা যাচ্ছে। নতুন দল গঠনে মদত জোগানো অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়। পরিবর্তনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যুবপ্রাণ জাগিয়ে তুলুন।’
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিপ্লবী যুব সংহতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাইফুল হক বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার রাজনৈতিক দল ও জনগণের বিপুল সমর্থনকে কাজে লাগাতে পারছে না।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের পর দিন বদলের স্বপ্ন ক্রমান্বয়ে ফিকে হতে শুরু করেছে। প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতার অভাবে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের বিপুল সম্ভাবনার অনেকটাই মাঠে মারা যাচ্ছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সরকারের কার্যকারিতায় ঘাটতি থাকায় নারীর অধিকার ও মর্যাদা বিরোধী সংগঠিত নানা তৎপরতা বেড়ে চলেছে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও বাধা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসবের পেছনে কোনও রাজনৈতিক মদত রয়েছে কিনা তা বের করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-তরুণদের স্বাধীনভাবেই রাজনৈতিক দল করার সুযোগ রয়েছে। ছাত্র তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে মদত জোগানো অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। এটা করতে গেলে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন সংকটে পড়বে, তেমনি ছাত্রদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সম্ভাবনাও হোঁচট খাবে।’
‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্ক ও বিভাজন এড়াতে তাদের নিরপেক্ষ চরিত্র বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখা দরকার এবং সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণে নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে। বিশেষ কারও পক্ষাবলম্বনে তাদের পথ হারাবার বা বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও অবকাশ নেই।’ বলেন সাইফুল হক।
বিপ্লবী যুব সংহতির আহ্বায়ক বাবর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব মীর রেজাউল আলম, জামিলুর রহমান ডালিম, বাবর চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, রাজেশ খান, সাফায়েত কামাল দিব্য, সাজ্জাদুল করিম আলভী, আল মামুন সৈকত ঈমাম উদ্দিন দীপু দাস, নূরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সুমন, সুজন শেখ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর নেতা মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, আবুল কালাম আজাদ, জামাল সিকদার।
সভায় সংগঠনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়।