বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘জুলাই আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের স্বীকৃতি প্রদানে সরকারের আশ্বাসে আমরা পিছিয়ে এলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে সরকারকে দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে স্পষ্ট জানান দিতে চাই, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতির ঘোষণাপত্র দিতে হবে।’
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীতে জনসংযোগকালে টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই সমন্বয়ক বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের আর্তনাদ আমরা এখনো শুনতে পাই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তাঁদের সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দেওয়া চলবে না।’
ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কুমিল্লা ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে সব সময় একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। চব্বিশ-পরবর্তী মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের যে স্বপ্ন, সে স্বপ্নের যাত্রা কুমিল্লা থেকেই প্রশস্ত হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইনস মাঠ থেকে শুরু হয়ে কান্দিরপাড়, ঈদগাহ হয়ে মোগলটুলী, রাজগঞ্জ হয়ে কান্দিরপাড় এসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের দাবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জয়নুল আবেদীন শিশির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন, সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন মো. রুবেল, মহানগর কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ রাশেদুল হাছান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কুমিল্লার শাহ পরান ভূঁইয়া জুয়েলসহ অন্যরা।