Homeরাজনীতিটেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে যেতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী

টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে যেতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী


৫৩ বছরের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে ও সংস্কার কমিশনকে সফল করতে টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, ‘আমরা বলেছি টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে যেতে হবে। যেখানে ধৈর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের ৫৩ বছরের অসমাপ্ত যে কাজগুলো রয়েছে, সেগুলো সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে সমাপ্ত করতে হবে।’

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের পর এসব কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।

মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার ও সংস্কার কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান নাসীরুদ্দীন। নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জুলাই চার্টারকে আইনিপ্রক্রিয়া দেওয়া হবে, পরবর্তী যে রাজনৈতিক দল আসবে তারাও যাতে বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে সংস্কার বিষয়ে শেষ কর্মদিবস পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারে।’

বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি নতুন সংবিধানের মাধ্যমে হবে বলে মনে করেন নাসীরুদ্দীন। নাসীরুদ্দীন জানান, বাহাত্তরের সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্র অসম্ভব। বাংলাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও ঐক্য দিন দিন বিনষ্ট হচ্ছে। গত ১৫ বছরের অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করার দাবি করেন তাঁরা। আওয়ামী লীগের বিচার তাঁরা চেয়েছেন। গণপরিষদ ও জাতীয় নির্বাচন এবং সংস্কার একসঙ্গে চলতে পারে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তির লড়াই ও এ দেশের ভবিষ্যতের জন্য একমাত্র গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধানে হবে।’

নতুন দলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক লাইন কী হবে, তা সবার সামনে ব্যক্ত করেছি। আমাদের লাইন হবে নতুন সংবিধান তৈরির লড়াই৷ বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছি। নতুন করে যাতে আসতে না পারে, সেজন্য ফ্যাসিবাদের কফিনে শেষ পেরেক মারার জন্য নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচনের লড়াই শুরু করেছি। সরকার সংস্কারের লড়াই শুরু করেছে, আমরা নতুন সংবিধান তৈরির লড়াই শুরু করেছি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশের পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক। আমরা আজকে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছি, বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক।’ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল থেকে বিভিন্ন মানুষ হারিয়ে যায়, একইভাবে আওয়ামী লীগও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। আমরা সরকারকে আইনি উদ্যোগ নিয়ে নিষিদ্ধ করে এবং পরবর্তী কোনো প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ যেন ফাংশন না করে, সেটা বলেছি। প্রথম ধাপ হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি করেছি। এটা হবে প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত।’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত