‘ফেসবুক পোস্টের জেরে বরিশাল বিএম কলেজে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম রুদ্রের ওপর হামলা, জোরপূর্বক অনলাইনে এনে হেনস্তা, হল থেকে বের করে দেওয়ার’ প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও গ্রন্থাগার সংলগ্ন এলাকা ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পতনের পরেও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির যে আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি, তাতে বাংলাদেশের মানুষের দমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দমে যায়নি। দমে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সুন্দর করে সরস্বতী পূজা হতো না, বই মেলা হতো না। কিন্তু যে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি— তারা রাজনৈতিকভাবে অনেক ধূর্ত এবং অনেক সংঘবদ্ধ।’
মেঘমল্লার বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানারকম মব ভায়োলেন্স চালানো হচ্ছে। সোমবার বরিশাল বিএম কলেজে ছাত্র ইউনিয়ন নেতার একটি শ্লেষাত্মক ফেসবুক পোস্টের জের ধরে একটি গোষ্ঠী ধর্ম বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে তাকে মব ভায়োলেন্সের শিকার করিয়েছে। এটা খুব বিপজ্জনক খেলা। কাল এই খেলার শিকার যে অন্য কেউ হবে না, সেটি বলা যায় না।’
‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রাণ দিয়েছে। এখানে কোনও মবক্রেসি বাংলাদেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না। বরিশালে ছাত্র ইউনিয়ন নেতার ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে, আমরা সেই হামলার প্রতিবাদ জানাই।’
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে আজ প্রতিবাদ জানিয়েছি। বরিশালেও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবেও আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
মিছিলে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সমন্বয়কারী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকীসহ অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠনের নেরতারা উপস্থিত ছিলেন।