সাধারণ মানুষ এখন পরিবহন খাতের নাম শুনলেই ‘চাঁদাবাজ ও মাফিয়া সেক্টর’ মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভেতর এমন একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, পরিবহন সেক্টর থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে। এ তকমা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (রেজি: নং বি-১৭২৪) বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি সকাল ১০টায় শুরু হয়।
পরিবহন সেক্টর হচ্ছে সেবামূলক উল্লেখ করে শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে লাখ লাখ পরিবহন শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জীবিকা নির্ভরশীল। আজ কেন মানুষ পরিবহন সেক্টরকে ভালোভাবে গ্রহণ করে না? এ সেক্টরে একেবারেই যে চাঁদাবাজি হয় না তা বলবো না। কিন্তু গুটিকয়েক চাঁদাবাজের জন্য পুরো পরিবহন সেক্টর সেই কলঙ্ক বহন করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পরিবহন জগতেও একনায়কতন্ত্র গড়ে তুলেছিল। তাদের আস্থাভাজন ছাড়া কেউই রোড পারমিট পায়নি। পেলেও দিতে হয়েছে মোটা অংকের অর্থ। যার কারণে সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশ এখন বৈষম্যমুক্ত। আমরা পরিবহন সেক্টরেও আর এই বৈষম্য দেখতে চাই না, চাঁদাবাজি এবং টার্মিনাল দখলের লড়াই দেখতে চাই না।’
সভায় সারা দেশ থেকে ২৬৫ বেসিক ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা পর্যায়ের নির্বাচিত সড়ক পরিবহন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রহিম বক্স দুদু’র সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির খান, শ্রমিক নেতা সজিব আলী, অলি আহমেদ, রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল হামিদ মিঠুল, জুবায়ের জাকির, মোহাম্মদ মুসা, আবুল বাহার, এম, জেনারেল ইসলাম, সুলতান আহমেদ, মোমিনুল হক লাভলু, মোহাম্মদ বালা মিয়া, রফিকুল ইসলাম পাখি, মইনুল ইসলাম, সুলতান আহম্মেদ সরকার, টিপু সুলতান ও আজম চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শ্রমিকসহ সড়ক পরিবহন সেক্টর, চট্টগ্রাম বন্দর, নির্মাণ সেক্টর ও শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রেখে শিল্প উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য সভা থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত নেতারা পরিবহনের দাবিসহ উপস্থাপিত প্রস্তাবের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করা হয়।