Homeরাজনীতি‘চব্বিশে জাতীয় পার্টির নামে নির্বাচন করেছে ২৬ সুযোগসন্ধানী’

‘চব্বিশে জাতীয় পার্টির নামে নির্বাচন করেছে ২৬ সুযোগসন্ধানী’


জাতীয় পার্টির (রওশনপন্থি) মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোটা জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেনি। জাতীয় পার্টির নাম নিয়ে ২৬ জন সুযোগসন্ধানী নির্বাচন করেছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির (রওসনপন্থি) ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনের সব দল অংশগ্রহণ করেনি, ওই নির্বাচন আমরা যারা বর্জন করেছিলাম আজ এখনে তারাই সমবেত হয়েছি। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমরা একটি শক্তিশালী সুসংগঠিত জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন করতে চাই। অচিরেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা সেই নির্বাচনের অংশ নেওয়ার জন্য এখন থেকে জাতীয় পার্টিকে প্রস্তুত করতে থাকবো।’

মহাসচিব বলেন, ‘একদিন যারা এরশাদের নামে জিন্দাবাদ দিয়েছেন, তারা সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ নেই। কেউ জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করছেন, কিন্তু এরশাদের আদর্শ ধারণ করছেন না। তার ছবিও ব্যবহার করছেন না। কেউ কেউ জাতীয় পার্টির নামে দল পরিচালনা করছেন, কিন্তু নির্বাচনী ইশতেহার থেকে এরশাদের ছবি মুছে দিয়ে নির্বাচন করেছেন। পোস্টারে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবি রাখা হয়নি অথচ অন্য দলের নেতা-নেত্রীদের ছবি ব্যবহার করে জাতীয় পার্টির নামে নির্বাচন করেছেন।’

মামুনুর রশীদ বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করে, একটি বিধ্বস্ত দেশকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেই ঘোষণা করেছিলেন, দুই বছরের মধ্যে দেশকে পুনর্গঠিত করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে তিনি ব্যারাকে ফিরে যাবেন। সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দুই বছরের মধ্যে দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে তিনি ১৯৮৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন কিন্তু হুসেইন মুহমাদ এরশাদের কোনও রাজনৈতিক দল ছিল না। ১৯৮৪ সালে যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো, তাহলে আজকের জাতীয় পার্টির সৃষ্টি হতো না। কিন্তু সেই সময় রাজনৈতিক নেতৃত্ব অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে ৮৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। তাদের দাবি ছিল, সামরিক আইনের মধ্যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। ফলে দেশে সামরিক শাসন আরও দুই বছর বৃদ্ধি পায়।’

এ সময় আলোচনা সভায় আরও ছিলেন– দলের যুগ্ম মহাসচিব ওহিদুর রহমান তরুণ, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা হাফসা সুলতানা, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু সাইদ গোফরান, নুরুল ইসলাম মিলন, নিগার সুলতানা, তুহিনুর রহমান প্রমুখ।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত