বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। সর্বশেষ আজ বুধবার নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পাওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চলমান ৩৭টি মামলার সবকটি থেকে তিনি রেহাই পেলেন। তাঁর অন্যতম আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আমলে দায়ের হওয়া ৩৭টি মামলা চলমান ছিল। গত বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একে একে এসব মামলা নিষ্পত্তি হতে থাকে। নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে খালাসের মাধ্যমে সবগুলো মামলা থেকে রেহাই পেলেন খালেদা জিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা চলমান নেই।
গত ১৫ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনকে বেকসুর খালাস দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিলেও গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন। এর আগে তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন।
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে বুধবার খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দেন ঢাকার আদালত।
গত বছর ৩০ অক্টোবর রাজধানীর দারুস সালাম থানার ৬টি ও যাত্রাবাড়ী থানার ৩ মামলায় খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। এর আগে কুমিল্লার নাশকতার এক মামলায় গত ২২ জানুয়ারি আদালত তাঁকে অব্যাহতি দেন।
গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন আদালতে থাকা পাঁচটি মামলায় খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলার কার্যক্রম গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট বাতিল করে দেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে থাকা কয়েকটি মামলা থেকেও খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বিভিন্ন তারিখে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলার মধ্যে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৫টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। বাকি মামলাগুলো গত দেড় দশকের বেশি সময়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে দায়ের করা হয়।