চলমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এখানে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার সংগঠন, ছাত্র-যুব সংগঠন সবার দৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলা দরকার। যাতে কেউ কোনোভাবে দেশে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট কিংবা রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে না পারে, এ ব্যাপারে সবাইকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। যমুনার সামনে এই ব্রিফিং হয়।
আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দোসররা নানা কৌশলে নানাভাবে দেশে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন লড়াই করে বহু রক্তের বিনিময়ে আমরা যে পরিবর্তন অর্জন করেছি এই পরিবর্তন সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় করা দরকার।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যদি কোনও সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরির চেষ্টা করে তাহলে গণতন্ত্রকামী ও আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আলোচনা করছি।
দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য যে সংস্কার চলছে সে কাজ ঐকমত্যের ভিত্তিতে ও দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আলোচনা আমরা করছি। জনগণের দাবি, চলমান সংকটগুলো নিরসন করা, এই আন্দোলনের মূল আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
রাষ্ট্রপতি পদত্যাগের বিষয়ে কোনও মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্পেসিফিক কোনও ব্যাপার না। আমরা বলেছি দেশে নতুন কোনও সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। যদি কেউ সেটা করতে চায় সেটাকে আমরা সবাই মিলে মোকাবিলা করবো।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ যে কষ্ট পাচ্ছে সেটা দূর করার ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর ও কার্যকর ভূমিকা পালনের কথা বলেছি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।