বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হলো জনগণের দৈনন্দিন যে সংকটগুলো রয়েছে সেগুলো দূর করা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) এবং অলি আহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও দেশ বরেণ্য জাতীয় নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা একটি সংকটকাল অতিক্রম করছি। দীর্ঘ ১৬ বছরের অব্যাহত লড়ায়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। স্বৈরশাসক পালিয়ে গেছে। দেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার আমাদেরই সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই লড়ায়ের যে আবেগ, সে আবেগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা সুস্পষ্ট।
তিনি বলেন, আমাদের লড়াই ছিল ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। এ সরকারের প্রধান কাজ হলো, জনগণের দৈনন্দিন যে সংকটগুলো রয়েছে সেগুলো দূর করা।
তিনি আরও বলেন, একটা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য যেসব সংস্কারের প্রয়োজন সেগুলো করে দেশে জনগণের নির্বাচিত শাসন প্রতিষ্ঠা করা। যে বিজয় আমরা অর্জন করেছি, সে বিজয় যেন অর্থবহ হয় এবং জনগণ যাতে বিজয়ের ফল স্থায়ীভাবে ভোগ করতে পারে সেজন্য জনগণের শাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, কবি আব্দুল হাই সিকদার, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির (এনজিপি) সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।