‘হ্যারি পটার’ ও ‘টোয়াইলাইট’-এর মতো ফ্যান্টাসি গল্প দিয়েই তাঁকে চিনেছে এ প্রজন্ম। অথচ, সেই রবার্ট প্যাটিনসন নাকি কখনোই ভূতের সিনেমা দেখেন না! ভূতের সিনেমার প্রসঙ্গ এলেই এড়িয়ে চলেন। নিজের এই ‘সিক্রেট’ প্যাটিনসন শেয়ার করেছেন জিকিউ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।
৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন সিনেমা ‘মিকি সেভেনটিন’। বানিয়েছেন অস্কারজয়ী পরিচালক বোং জুন হো। নতুন সিনেমা মুক্তি উপলক্ষে পরিচালকের সঙ্গে ওই সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়ে প্যাটিনসন বলেন, ‘ছোটবেলায় এ ধরনের ডার্ক কনটেন্ট অনেক দেখতাম। তখন ভালোই লাগত। সাধারণত এটা হয় না। সবাই ছোটবেলায় ভূতের সিনেমা দেখে ভয় পায়। বড় হওয়ার পর ভয়টা কেটে যায়। তবে আমার ক্ষেত্রে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংবেদনশীলতা বেড়েছে। তাই ভৌতিক সিনেমা আমি দেখতে পারি না।’
তবে রবার্ট প্যাটিনসন যেহেতু অভিনেতা, তাই হরর সিনেমা তো একেবারেই এড়ানো যায় না। অনেক সময় এ ধরনের সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। সেসব গল্প শুনতে হয়, রেফারেন্স দেখতে হয়। সে অভিজ্ঞতা প্যাটিসনের জন্য খুব যে সুখকর হয়, তা নয়। এমন একটা উদাহরণও দিলেন তিনি। এই তো কয়েক মাস আগেই এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে, খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।
প্যাটিনসন বলেন, ‘এক পরিচালকের সঙ্গে মিটিং ছিল। একটা ভৌতিক সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। সিনেমাটা দেখেছিলাম। তিনি চলে যাওয়ার পর সারাক্ষণ মনে হচ্ছিল, কেউ যেন আমার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছে!’ এরপর রবার্ট প্যাটিনসন যে কাজটি করলেন, রান্নাঘর থেকে চাকু এনে সোফায় বসলেন! এবার দেখি কে আসে! একপর্যায়ে সোফাতেই ঘুমিয়ে পড়েন অভিনেতা।
অনেকক্ষণ পরে তাঁর জীবনসঙ্গী সুকি ওয়াটারহাউস এসে দেখেন, প্যাটিনসন সোফায় ঘুমাচ্ছেন আর তাঁর মাথার কাছে দুটো চাকু! ধাতস্থ হওয়ার পর প্যাটিনসন বুঝলেন, সবই ছিল তাঁর কল্পনা!
কোন সিনেমা দেখে এত ভয় পেয়েছিলেন প্যাটিনসন, তা জানাননি অভিনেতা। তবে হলিউড রিপোর্টারের অনুমান, সিনেমাটি হতে পারে পার্কার ফিন পরিচালিত ‘স্মাইল’। কারণ গত বছর এই পরিচালক প্যাটিনসনকে নিয়ে ১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ভৌতিক সিনেমা ‘পজেসন’-এর রিমেক করবেন বলে খবর বেরিয়েছিল।