১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশে নাট্যচর্চায় যাত্রা শুরু করে আরণ্যক। ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদ মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকটি দিয়ে প্রথম মঞ্চে আসে তারা। প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর উপলক্ষে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে নানা আয়োজন সাজিয়েছে আরণ্যক নাট্যদল।
‘তিমির হননে অগ্রসর হয়ে’ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত মাসব্যাপী এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতি ও সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আরণ্যকের ৫৩ বছর পূর্তির আয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দলটি মঞ্চায়ন করবে তাদের প্রথম প্রযোজনা কবর।
৭ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে বেলা ৩টায় রয়েছে ভিডিও ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। ১৫ ফেব্রুয়ারি একাডেমির কফি হাউস চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে পথনাটক উৎসব। ১৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৬টায় থাকছে যন্ত্রসংগীত। সন্ধ্যা ৭টায় ‘রাঢ়াঙ’ নাটকের প্রদর্শনী, রচনা ও নির্দেশনা মামুনুর রশীদ।
১৯ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সন্ধ্যা ৬টা থাকবে যন্ত্রসংগীত। সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়ন হবে নাটক ‘কম্পানি’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। ২০ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে সন্ধ্যায় ৬টায় যন্ত্রসংগীতের পর থাকছে নাটক ‘ময়ূর সিংহাসন’। রচনা মান্নান হীরা, নির্দেশনায় শাহ আলম দুলাল।
২৮ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হবে আরণ্যকের উৎসব। এ দিন স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে সমাপনী অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘কহে ফেসবুক’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ।
প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের ঠিক পরপরই ’৭২-এর ফেব্রুয়ারিতে আমরা কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করি আরণ্যক। নাট্যাঙ্গনে স্বাধীনতার ইমিডিয়েট ফসল বলা চলে এটা। সেই থেকে আমরা নিয়মিত নাট্যচর্চা করছি। কালের ধারাবাহিকতায় অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন, অনেকেই প্রবাসে গেছেন, আবার কেউ কেউ ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। উৎসবে আমরা দলের বিশেষ নাটকগুলো মঞ্চায়ন করব। আরও যে নাটক রয়েছে, সেগুলো নিয়ে পরবর্তী সময়ে উৎসব করার চেষ্টা করব।’