সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক শাহাদাত হোসেন নাদিম ‘ওভারডোজ বাই নাদিম’ নামে ব্যান্ড দলের মাধ্যমে সংগীতে যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন নাটকের আবহ সংগীতের কাজ নিয়ে। সম্প্রতি কালবেলা ড্রামায় প্রকাশিত ‘পাগলের সুখ মনে মনে’ নাটকে ‘আমি মরে যাবার পর’ শিরোনামে একটি গান গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কালবেলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিজীবন, কাজ নিয়ে কথা বলেছেন এই শিল্পী।
‘আমি মরে যাবার পর’ গানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নাদিম বলেন, ‘আমার বন্ধু, এ নাটকের পরিচালক শাহনেওয়াজ রিপন কিছুদিন আগে এ নাটকের গল্পটি শোনায় এবং নাটকের শেষে একটি গান লাগবে বলে জানায়। আমি ওকে গান লিখে সুর করে পাঠাই। নিলয় ভাইও (অভিনেতা নিলয় আলমগীর) গানটি শুনে পছন্দ করে। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম বেহালাবাদক সেলিম ভাই আমার স্টুডিওতে এসে বেহালা বাজিয়ে গানকে আরও সমৃদ্ধ করে।’
দর্শক সাড়া কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে এই শিল্পী বলেন, ‘খুবই ভালো সাড়া দিচ্ছে। আমার বন্ধু, পরিজনসহ বাইরের অনেককে শুনেছি গানটি নিয়ে কথা বলতে। আমি নিজেও খুবই আনন্দিত।’
জীবনের টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে এ সংগীত পরিচালক বলেন, “আমি মনে করি আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ‘পাগলের সুখ মনে মনে’। এটা থেকেই মূলত বলতে পারছি আমি একজন মিউজিক কম্পোজার ও সংগীতশিল্পী। আমি অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছি। ফাইনালি রেজাল্টটা এখান থেকেই এসেছে।”
এ কাজের অনুভূতি, অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাদিম বলেন, ‘অনুভূতি খুবই ভালো। সঙ্গে কষ্টেরও। কষ্টের কারণ হলো, এ কাজের জন্য আমি খুবই কম সময় পেয়েছি। আশা করেছিলাম অন্তত এক সপ্তাহ সময় পাব। হাতের একটি কাজ ফেলে দুদিন সময় পেয়েছি, এর মধ্যে নাটকের পরিচালক রিপন আমাকে একটুও ঘুমাতে দেয়নি। এমন হয়েছে যে, সারা রাত কাজ করে বাসায় এসেছি, সকালেই ও হাজির। এত অল্প সময়ে কাজটি হয়েছে যে, আমার মনে হয় কেউ সাহসও করবে না। কারণ দুদিনে দুটি গান ও পুরো বিজিএম করতে হয়েছে। এবং সারাক্ষণ পরিচালকের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। খাওয়া ঘুম ছেড়ে কাজটি করেছি। নাটক যেদিন মুক্তি পায় সেদিনই কাজ শেষ করে দিতে পারি। তবে আমার কোনো ক্লান্তি আসেনি। নাটকের প্রতিটি দৃশ্য উপভোগ করেছি। সবচেয়ে ভালো লাগা হলো দর্শকের সাড়া।’