Homeবিনোদনতাহসানের নতুন অধ্যায় | কালবেলা

তাহসানের নতুন অধ্যায় | কালবেলা


নতুন বছরের শুরুটা যেন তাহসানময়। বিয়ে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই হাজির হলেন বছরের প্রথম গান নিয়ে। এবার নববধূকে নিয়ে হানিমুনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে শুভকামনার মধ্যে রয়েছে ভক্তদের নানান কৌতূহল। হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন তাহসান-রোজা?

জানা যায়, তাহসান খান নববধূ মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে নিয়ে হানিমুনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দেশের একটি এয়ারলাইনসে উড়োজাহাজে মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন নবদম্পতি। আপাতত সূর্যময় দ্বীপরাজ্যেই কাটবে তাদের মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্তগুলো। সেখান থেকে শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন নবদম্পতি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিতে পারেন রোজা। কারণ সেখানে রয়েছে তার রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠান।

এদিকে সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় নিজের নতুন গান প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাহসান। বিয়ের পর প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে দেখা পাওয়া গেল তাহসানকে। স্বাভাবিকভাবেই আসে বিয়ের প্রসঙ্গ। তাহসান বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে কথা বলে জাতীয় ইস্যু হতে চাই না। তবে আপনারা বিয়ের অনুভূতি জানতে চেয়েছেন, অনুভূতিটা অসাধারণ। আমি শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা পাচ্ছি, এটা নিয়ে খুবই আনন্দিত। সব দেশেই নেতিবাচকতা থাকে, আমাদের দেশে একটু বেশি চর্চা হয়। কাটতির জন্য এটা ঘটে। আমার কাজ গান করা, গান করে যাব। আমি আর দশজন মানুষের মতোই। বিয়ে হলো আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটা অংশ। আর্টিস্ট হিসেবে মানুষ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কিছু জানতে চায়। তাই বিয়ের মতো এত বড় একটি বিষয় লুকিয়ে রাখতে চাইনি। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।’

বিয়ের খবরে আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে তাহসান বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে রসবোধটা একটু বেশি। এ ছাড়া আমরা জাতিগতভাবে একটু বেশি বিচারকধর্মী। কিছু মানুষ আছেন যারা সব সময় চুলচেরা বিশ্লেষণ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এটা উচিত নয়। এসব বিষয় মাথায় রাখলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। আমার কাজ হলো গান করে যাওয়া। এর সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেলে সেটা করব। এ বছর কিছু গানের পরিকল্পনা করেছি সেগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় আছি।’

সোমবার প্রকাশিত ‘একা ঘর আমার’ শিরোনামে গানটি লেখা ও সুর দুটিই তাহসানের। প্রকাশ করেছে অনুপম রেকর্ডিং। সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। গান নিয়ে তাহসান বলেন, ‘সাত থেকে আট মাসে আগেই গানটি লেখা। একটা মানুষের প্রেমে পড়ে গেলে সেই মানুষটার প্রতি অনেক প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে মানুষের কষ্ট অনেক বেশি হয়। এমনও হয়, আপনি যাকে ভালোবাসেন সেই মানুষটা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে আর আপনি সেই কষ্টটা পুষে রাখছেন। বলতে গেলে একটা মানুষকে ভালোবাসি আবার সেই মানুষটাকে ঘৃণাও করি—এমন চিন্তা থেকেই এই গানটি মাথায় এসেছে। ২০ থেকে ২২ বছর ধরে অনেক ধরনের গান করেছি; কিন্তু বিরহের গানের জন্যই দর্শকের বেশি ভালোবাসা পেয়েছি। এবারও তাই হলো। এ বছর অনেক বেশি গানের পরিকল্পনা করেছি। এর মধ্যে চারটা গান করেছি। এর মধ্যে একা ঘর আমার প্রকাশিত হলো। গানটা বেঁচে থাকবে। গানটা হয়তো দেশজুড়ে তোলপাড় করবে না; কিন্তু গানটা বেঁচে থাকবে।’



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত