জানা গিয়েছে, দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় এই গাড়ি আমদানি করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেই গাড়িগুলি নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে। আইন অনুসারে, ১৪ অক্টোবরের মধ্যে এই গাড়িগুলি ছাড় করিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অগস্ট মাসেই সংসদ ভেঙে যাওয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিতে ব্যর্থ হন সাংসদরা। কয়েকজন সাংসদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজন সাংসদ আত্মগোপন করে আছেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ২৪টি গাড়ির নিলাম সংক্রান্ত কাগজ রয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলাম শাখায়। বুধবার সন্ধ্যায় বন্দর থেকে কাস্টমসের নিলাম শাখায় গিয়েছে ১৮টি গাড়ির নথিপত্র। এইসঙ্গে জটিলতা এড়াতে বাকি ৬টি গাড়ি নিলামে তোলার আগে বিধি অনুযায়ী আমদানিকারকের মতামতও চাওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মহম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘বন্দরে আসার পর ৩০দিন অতিবাহিত হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী গাড়িগুলির নিলাম হবে। ইতিমধ্যে কাগজপত্র কাস্টমস হাউসে পাঠানো হয়েছে। তারাই এই সংক্রান্ত বাকি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যেই ৬টি গাড়ির আমদানিকারকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা চিঠির জবাব না দিলে সেগুলিও নিলামে উঠবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি মূল্যের উপর ৮৫০ শতাংশ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। একটি গাড়ির বাজারমূল্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হলেও সাংসদরা মাত্র ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকায় সেই গাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগ পান।