এদিকে, সেখানে হাসিনার সরকারের পতনের পরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয় তার জেরে কুমারী পূজা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। এটা জানার পরেই মন খারাপ হয় সেখানের হিন্দুদের। জানা গিয়েছে, কুমারী পুজো না করার সিদ্ধান্তর বিষয়টি জানতে পারেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তারপরেই তাঁর পক্ষ থেকে উপ সেনাপ্রধান গত শনিবার রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে দেখা করেন স্বামী পূর্ণাত্মানন্দের সঙ্গে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেখানে পুজোর সময়ে সম্পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়। এরই সঙ্গে কুমারী পূজা যেন বাদ না যায় সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়। তারপরেই আবার কুমারী পুজো করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের, চলতি বছরের পুজোর দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বামী হরিপ্রেমানন্দ (স্বপন মহারাজ) বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অনুরোধেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিশনের প্রধান পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ কুমারী পুজোর আয়োজন করা হবে বলে সেনাবাহিনীকে কথা দিয়েছেন। আমরা সেটা আয়োজন করা উদ্যোগ নিচ্ছি।’ পুজোর দিনগুলিতে মিশনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে সেনাবাহিনী বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘পুজোর সময়ে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং পুলিশ। আমরাও আশা করছি তারা পুজোর সময়ে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।’