মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, এই জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করা হবে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ছুটি থাকছে। এর ফলে চলতি বছরে দুর্গাপুজো এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি থাকছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার আমলে পুজোর সময়ে শুধুমাত্র বিজয়া দশমীর দিনে সরকারি ছুটি দেওয়া হত। এই ছুটি অন্তত তিন দিন করার দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলি। তবে সেখানে পুজোর সময়ে সরকারি ছুটি দেওয়ার বিরোধিতা করে পথে নামে একটি কট্টরপন্থী ইসলাম সংগঠন। এদিকে, অগস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ।
চলতি বছর পুজোর আগে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুর করার পাশাপাশি পুজো করা নিয়েও নানা রকম হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছে বাংলাদেশের হিন্দুরা। তবে শান্তিপূর্ণভাবে এবং নির্বিঘ্নে পুজো করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছে ইউনূসের সরকার।
মাহফুজ বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি । মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করার পরেই এই কথা জানান মাহফুজ আলম।
অন্যদিকে, এবারের পুজো খুব ভালোভাবে হবে এবং কোনও অসুবিধা হবে না বলে আবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী । পুজোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি র্যা ব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।