বাংলাদেশে দুর্গাপুজো করা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছেন হিন্দুরা। কিন্তু এরই মধ্যে অন্য ধরনের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন এক শিল্পী। নাটোরের এক প্রতিমা শিল্পী দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন ধান দিয়ে। সেই প্রতিমা দেখতে লাগছে সোনার রঙের। বিশ্বজিৎ পাল নামের ওই শিল্পী জানিয়েছেন, এই প্রতিমা তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি ধান। এই প্রতিমা দেখা যাবে নাটোরের লালবাজার কদমতলার রবি সূতম সংঘের মণ্ডপে।কেন এই ধরনের প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে তাও জানিয়েছেন এই শিল্পী। তিনি জানান, বংশপরম্পরায় তাঁরা প্রতিমা তৈরির কাজ করেন। প্রতি বছরই আয়োজকেরা প্রতিমায় নতুনত্ব চান। নতুন কিছু করার অনুরোধ করেন পুজো কমিটির সদস্যরা। এ বার রবি সূতম সংঘ তাদের মণ্ডপের জন্য সোনালী ধান দিয়ে মোড়ানো প্রতিমা তৈরির জন্য আবদার করেন। এটা করা খুব সহজ নয় জেনেও তিনি কাজটি শুরু করেন।
বিশ্বজিৎ জানান, মাস খানেক আগে এই দুর্গাপ্রতিমা তৈরির জন্য প্রথমে কাঠ, বাঁশ, পাট দিয়ে কাঠামো তৈরি করা হয়। তাতে মাটি দিয়ে প্রতিমার আকৃতি আনা হয়। মাটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই নরম মাটির গায়ে একটি একটি করে ধান বসানো হয়। তিনি বলেন, ‘ধান বসানো শেষ হওয়ার পর দেখে মনে হচ্ছে, প্রতিমাটি সোনায় মোড়ানো হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার ধান বসিয়ে প্রতিমাটি করা হয়েছে। একটি একটি করে ধান বসানোর কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জের।’ এরপর রংতুলির আঁচড়ে চোখ-মুখ সহ পুরো প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বিশ্বজিৎ জানান, মাস খানেক আগে এই দুর্গাপ্রতিমা তৈরির জন্য প্রথমে কাঠ, বাঁশ, পাট দিয়ে কাঠামো তৈরি করা হয়। তাতে মাটি দিয়ে প্রতিমার আকৃতি আনা হয়। মাটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই নরম মাটির গায়ে একটি একটি করে ধান বসানো হয়। তিনি বলেন, ‘ধান বসানো শেষ হওয়ার পর দেখে মনে হচ্ছে, প্রতিমাটি সোনায় মোড়ানো হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার ধান বসিয়ে প্রতিমাটি করা হয়েছে। একটি একটি করে ধান বসানোর কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জের।’ এরপর রংতুলির আঁচড়ে চোখ-মুখ সহ পুরো প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
রবি সূতম সংঘের সাধারণ সম্পাদক পার্থ রায় বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই দুর্গাপ্রতিমায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করি। এ বার আমরা ধান দিয়ে প্রতিমা তৈরির পরিকল্পনা করে প্রতিমাশিল্পীকে জানিয়েছিলাম। আমরা খুশি যে এই কঠিন কাজটা করে দিয়েছেন।’ নাটোর জেলায় এ ধরনের কাজ এটাই প্রথম বলেও দাবি তাঁদের।
প্রসঙ্গত চলতি বছরে নাটোর জেলায় ৩৫৪টি মণ্ডপে দুর্গাপুজো হচ্ছে। গতবারের তুলনায় এই সংখ্যা ৩৮টি কম।