স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার আধিকারিক জহিরুল হক স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কেউ সোশ্যাল মিডিয়াতে মন্তব্য করেন কি না, তাও কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে টহলদারি বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে তাতে। গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে বুধবার এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আগেই জানানো হয়েছে, চলতি বছর দুর্গাপুজোর সময়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে। আজান এবং নমাজ চলাচালীন পুজোর বাদ্যযন্ত্র এবং মাইক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো করা নিয়ে একাধিক হুমকি দিয়েছে বেশ কয়েকটি কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন বলেও অভিযোগ। তারপরও সেখানে এবার সব থেকে শান্তিতে পুজো করা যাবে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এই জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ বার দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তাতেই জানানো হয়েছে দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র্যা ব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হবে। যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়াও হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ যাতে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বক্তব্য বা গুজব না ছড়াতে পারেন সেই দিকেও নজরদারি রাখা হবে।
এই সঙ্গে জানানো হয়েছে, পূজামণ্ডপে সব সময়ে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রাতেও সেখানে পাহারা থাকবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে, মণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ছাত্রদের নিয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে।