নিরাপত্তাজনিত কারণে চট্টগ্রামের তিনটি জেলায় আপাতত ২৪ দিনের জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি— এই তিন পাহাড়ি জেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কথা জানামাত্রই পুজোর আনন্দ কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে গিয়েছে স্থানীয়দের একাংশের মধ্যে। পুজোয় একদিনের সরকারি ছুটির সঙ্গে সপ্তাহান্তের আরও দু’দিন মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি মিলেছিল।পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে হোটেল বুকিং-সহ নানাবিধ প্রস্তুতি আগেই করা থাকে। কিন্তু তিন পাহাড়ি জেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারিতে রীতিমতো মাথায় বাজ) পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসর্টগুলিতে ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চারদিনে কয়েক হাজার পর্যটকের টানা বুকিং ছিল। বেড়ানোর জন্য টুরিস্ট গাড়িও আগাম বুকিং করেছিলেন পর্যটকরা। সরকারের আচমকা সিদ্ধান্তে গাড়ি ব্যবসায়ীরাও বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে গিয়েছেন।
বান্দারবনের হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শারদীয় উৎসব ঘিরে বহুদিন পর এ বার বান্দরবান জেলায় পর্যটকদের ঢল নামার মতো বুকিং হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, এ বার ঘুরে দাঁড়াবে পর্যটন শিল্প। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল আচমকা।’
কেন আচমকা নিষেধাজ্ঞা। এখন তো সে ভাবে অশান্তি নেই পার্বত্য চট্টগ্রামে! বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, অনিবার্য কারণে এই তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত তিন পার্বত্য জেলায় একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তাজনিত কারণেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।