শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে দুর্গাপুজো করা নিয়ে ভয় দেখানো এবং উদ্দেশ্যমূলক শর্ত আরোপ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ধর্ম অবমাননার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভাঙচুর করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই সঙ্গে পুজো করতে হলে টাকা দেওয়ার দাবি করে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। সেখানে দুর্গাপূজায় বাধামুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির আহবান জানিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
এ দিকে পুজোর সময়ে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর করিম চোধুরী। তারপরেও আতঙ্কমুক্ত হতে পারছেন না বাংলাদেশের হিন্দুরা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত । তিনি বলেন, ‘পুজোকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। তাই এ বার পূজা কতটা উৎসবমুখর হবে সেটা বলতে পারব না।’
এই সময়েই নির্ভয়ে পূজা মণ্ডপে যাওয়ার জন্য আবেদন করলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। শনিবার বিকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান। তারপরেই নির্ভয়ে পুজো করার কথা জানান তিনি। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান।
তিনি বলেন, ‘সবাই যার যা ধর্ম সেটা পালন করবেন। সেজন্য যা কিছু করতে হয় তা আমরা করব। আপনারা নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাবেন, পূজা করবেন। আপনাদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’ শারদীয়া দুর্গোৎসব উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই সঙ্গেই বিভিন্ন মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব জেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।