গত জুলাই মাসে শুরু হয় ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’। তার জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশে ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তারপরেই মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে বাংলাদেশে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ইতিহাস মুছে দিতে চাইছে বলেও দাবি করেছে আওয়ামি লিগ।
হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মতই আওয়ামি লিগের নেতা ও কর্মীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এইভাবে তাদের শেষ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কেউ যদি মনে করেন অত্যাচার, নির্যাতন করে আওয়ামি লিগকে ধ্বংস করে দেবেন, তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’
বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে আওয়ামি লিগের সম্পর্ক আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। আওয়ামি লিগ নিশ্চিত যে দেশের ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে স্বমহিমায় ফিরে এসে তারা দেশের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কী পরিস্থিতিতে এবং কেন হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে তাও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। আমেরিকায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ইউনূস জানিয়েছিলেন যে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার পরেই বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল। এর পিছনে ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে ছিলেন তাও জানান ইউনূস। আওয়ামি লিগের দাবি, ক্ষমতা দখলের জন্য যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তাও এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আওয়ামি লিগ লড়াই করবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অন্য কোনও দেশের পতাকা উড়তে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে ‘প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে’। সেটা হবে ‘স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ’ বলেও জানিয়েছে আওয়ামি লিগ।
বাংলাদেশে ধর্মের নামে যে হিংসা করা হচ্ছে তারও নিন্দা করেছে আওয়ামি লিগ। মন্দির এবং বাড়িতে হামলার পরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে প্রতিবাদ করে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন তারও প্রশংসা করেছে আওয়ামি লিগ। বাংলাদেশে যে অরাজকতা চলছে তার দায় ইউনূসকেই নিতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।