আনিকা নিজে একজন মেকআপ আর্টিস্ট। লয়োলা মেরিমাইন্ড ইনিভার্সিটি থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে ডিগ্রি নিয়ে তিনি কাজ করেছেন লস আঞ্জেলেসের মেয়রের অফিসে।
কী কারণে আনিকাকে এই প্রতিযোগিতার জন্য ‘নির্বাচিত’ করা হয়েছে সেটা জানিয়েছেন ফ্লোরা এন্টারটেনমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা রফিকুল ইসলাম। রফিকুল বলেন, ‘ ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশ মিস ইউনিভার্স গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেনি। সেটা একটা কঠিন সময় ছিল। তবে বিশ্বের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে সর্বাগ্রে রেখে আমাদের এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।’
তিনি জানান, আনিমা একজন আন্তর্জাতিক মেকআপ আর্টিস্ট। সেই সঙ্গেই নারী ক্ষমতায়নের একজন দৃঢ় কণ্ঠস্বর এবং বাংলাদেশের শক্তির প্রতীক। তাঁর যে গুণ এবং যোগ্যতা আছে সেটা বিচার করেই আনিকাকে এ বার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য,এতদিন এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র অবিবাহিতরাই অংশ নিতে পারতেন। গত বছর এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘মিস ইউনিভার্স’-প্রতিযোগিতা কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার বয়সসীমা ২৮ বছর। এখন তা নেই। তাই সবদিক বিবেচনা করেই আনিকাকে ‘সিলেক্ট’ করা হয়েছে।’
আনিকার আশা, তিনি সেখানে বাংলাদেশকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তিনি জানান, তাঁর আদর্শ প্রিন্সেস ডায়না। আগামী দিনে মডেলিং করলেও অভিনয় করা নিয়ে কিছুই ভাবেননি তিনি। এদিন আনিকা বলেন, ‘ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেব সেটা কিছুদিন আগেও জানতাম না। সেখান থেকে ফিরে এসে মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আরও বেশি কাজ করব।’