বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) আজ (17 ডিসেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তকারী সংবিধানের 15 তম সংশোধনীর ধারাগুলি বাতিল করার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, হাইকোর্টের রায়ে জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা জনগণের আরেকটি বিজয়।
“এই আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমরা দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ও নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিনা ক্ষমতায় ক্ষমতা দখলের প্রবণতা। ভোট তৈরি করা হয়েছে।
“ফলস্বরূপ, বাংলাদেশে 2014, 2018 এবং 2024 সালে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচন ছিল একটি তামাশা। মূলত, 15 তম সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছিল।”
এদিকে, ঢাকায় আইএবির কার্যালয়ে এক আলোচনায় আইএবি মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, ১৫তম সংশোধনী বাতিলের রায় জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এক ধাপ এগিয়েছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার হওয়ায় এই রায় জনগণের জন্য স্বস্তি এনেছে।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে করা সব সংশোধনী বাতিলের দাবিও জানান তিনি।
আগের দিন, হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে যেগুলি সমগ্র জাতির ইচ্ছা বলে উল্লেখ করে পঞ্চদশ সংশোধনীর কয়েকটি ধারা বাতিল করেছে।
এ সংক্রান্ত দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।